a> 2ミ বহির্গত হইলেন, তখন হনুমানও র্তাহার সহিত গমন করিয়াছিলেন । সাহচর শক্রয় দেবপুরাধিপতি বীরমণির নিকটে গমন করিলেন এবং সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন। বীর মণির উপাস্ত্য দেবতা চন্দ্রশেখর তাহাকে রামানুজের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সাহায্য করেন । শিব-সহায়তার ফলে শত্রুঘ্ন, ভরতাত্মজ পুষ্কর প্রভৃতি বীরমণির হস্তে । নিহত হইলে, হনুমান অতিশয় ক্রুদ্ধ । হইয়া মহাপরাক্রমে যুদ্ধ করিতে লাগিলেন। মহেশ্বরও অতুচরগণসহ নিজ ভক্তের পক্ষাবলম্বন করিয়া, যুদ্ধে । অবতীর্ণ হইলেন। অবশেষে হনুমানের বীরত্বে প্রীতি লাভ করিয়া, মহেশ্বর তাহাকে বর প্রার্থনা করিতে বলিলেন । । বলিলেন-— । হনুমান মহেশ্বরকে “আমি সমরে ইন্দ্রকে পরাজর করিয়৷ দ্রোণ পৰ্ব্বতস্থ ঔষধি সকল অনিয়নপূৰ্ব্বক শক্রাদির জীবন দান করিতে ইচ্ছা করি । যাবৎ আমি প্রত্যাবর্তন না করি, ততকাল আপনি এই আহত ব্যক্তিদিগকে রক্ষণাবেক্ষণ করুন।” মহাদেব তাহাতেই সন্মত হইলেন । হনুমান দ্রোণ পৰ্ব্বতের সমীপে গমন করিয়া, তাহা উত্তোলন করিবার উদ্যোগ করিলেন। দেবগণ তাঁহাতে ভীত হইয়া তাহকে অস্ত্রাঘাত করিতে লাগিলেন। কিন্তু হনুমানের আক্রমণে সকলেই প্রপীড়িত হইয়', পলায়নপূর্বক দেবরাজের শরণাপন্ন হইলেন। জীবনী-কোষ—ভারতীয়-পৌরাণিক । দেবরাজ তখন মন্ত্রণা করিবার জন্য অন্যান্ত দেবগণসহ সুরগুরু বৃহস্পতির র্তাহার নিকটে সকল বিষয় অবগত হইয়া, অতিশয় আনন্দিত হইলেন। অতঃপর দেবগণ সমভিব্যাহারে বৃহস্পতি হনুমানের নিকটে গমন করিয়া, তাহাকে প্ৰবোধিত করিলেন এবং মারুতির প্রার্থনায় তাহাকে মৃত সঞ্জীবন ঔষধ প্রদান করিলেন। সেই ঔষধের প্রভাবে শক্রপ্লাদি সকলে পুনরায় জীবন লাভ করিলেন । পদ্ম-পাতা-১, ২, ৫, २ ४, २२, २४, २७, २४, २३० °“ । (v) দ্রৌপদীর অনুরোধে ভীম যখন সুগন্ধ পুষ্প আনয়ন করিবার জন্য যাত্র করেন, ( ১২৪৩ পৃঃ দেপ ) তখন পথিমধ্যে হনুমানের সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হয়। হনুমান তখন গন্ধমাদনসাতুতে এক কদলীবনে বাস করিতে ছিলেন । ভীমের তথায় আগমনের কারণ তিনি জানিতে পারিয়া, সেই কদলীবনে স্বর্গগমনের ধে পথ ছিল, সেই পথ অবরোধ করিয়া নিদি ত এiস শয়ান রহিলেন । ভাম তাহকে পথ পরিত্যাগ করতে বলিলে,হনুমান পীড়াব ভাণ করিয়া তাহাকে লঙ্ঘন করির। যাইতে বলিলেন । ভীম বলিলেন— “হনুমান যেরূপ পূৰ্ব্বে সাগর লঙ্ঘন করিয়াছিলেন, আমিও সেইরূপ তোমাকে লঙ্ঘন করিয়া যাইতাম । কিন্তু
