পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১০৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ—ভারতীয়-পৌরাণিক । מר לא না পারিলে তাহার রোষাগ্নিতে দগ্ধ ৷ श्शेउ श्व। अजिग्न इहेश उिनि । s কখনও কাহার নিকটে কিছু প্রার্থনা করিতে পারেন না । ধনলাভের কোনও উপায়ও তিনি স্থির করিতে পারিতেছিলেন না। অতএব কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় । হইয়া রাজা কেবল স্ত্রীপুত্রসহ বিলাপ করিতে লাগিলেন। অবশেষে মহিষীর । পুনঃপুনঃ অনুরোধে এবং নিতান্ত অন- : ন্তোপায় হইয়াই তিনি মহিষীকে বিক্রয় করিয়া ব্রাহ্মণের ঋণ পরিশোধ করিতে মনস্থ করিলেন । তথন নগরে প্রবেশ । করিয়া রাজা শৈব্যাকে পথিপাশ্বে উপবেশন করাইয়া, পথচারীদিগকে আহবানপূর্বক বলিতে লাগিলেন যে, তিনি তাহার পত্নীকে বিক্রয় করিবেন। ধদি কাহারও দাসীর প্রয়োজন হয়, তবে তিনি ক্রয় করিতে পারেন। রাজা মথন এইভাবে ঘোষণা করিতেছিলেন, তখন বিশ্বামিত্র পুনরায় বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের বশে হরিশ্চন্দ্রের নিকট আসিয়া দাসী । ক্রসে জ্ঞাপন করিলেন। অতঃপর ধৰ্ম্মশাস্ত্র অনুসারে মূল্য নিৰ্দ্ধারিত হইলে, বিশ্বামিত্র কোটি স্বর্ণমুদ্রার বিনিময়ে রাজমহিষীকে দাসীরূপে ক্রয় করিলেন । হরিশ্চন্দ্রের পুত্র রোহিত জননীকে পরিত্যাগ করিয়া থাকিতে অসমর্থ হইয়া অতিশয় রোদন করিতে লাগিলেন। । তখন বিশ্বামিত্র শৈব্যার কাতর অনু- | রোধে রোহিতকেও ক্র করিয়া লইয়া । চলিলেন। পত্নী ও পুত্রকে ঐ ভাবে চলিয়া যাইতে দেখিয়া, হরিশ্চন্দ্র আকুল হইয় হাহাকার করিতে লালিলেন । কিয়ৎকাল পরে, বিশ্বামিত্র পুনরায় ভিন্ন রূপ ধারণ করিয়া হরিশ্চন্দ্রের নিকটে উপস্থিত হইলেন এবং দক্ষিণা প্রার্থনা করিলেন। তিনি যখন দেখিলেন হরিশ্চন্দ্র ৰ্তাহাকে, পত্নী ও পুত্রকে বিক্রয়লব্ধ অর্থ হইতে র্তাহাকে দক্ষিণা দান করিতে উষ্ঠত হইয়াছেন, তখন রাজাকে আরও বিপদে ফেলিবার জন্য বলিলেন— “আপনি অরণ্য মধ্যে আমাকে বলিয়া ছিলেন যে, আমি যদি আপনার সহিত অযোধ্যায় গমন করিতাম, তাহা হইলে আপনি আমায় প্রচুর ধন প্রদান করিতেন। আমি তখন বিবেচনা করিয়াছিলাম যে, আপনি রাজস্বয় যজ্ঞ করিয়াছিলেন এবং সেই যজ্ঞেরই দক্ষিণ আমাকে প্রদান করিতে মনস্থ করিয়া ছিলেন । তজ্জন্য আমি এক্ষণে প্রার্থনা করিতেছি যে, আপনি আমার সেই যজ্ঞের দক্ষিণ প্রদান করুন।” হরিশ্চন্দ্র

  • বলিলেন—“পূৰ্ব্ব প্রতিশ্রুত সাৰ্দ্ধ ভারদ্বর

রাজ্যদানের দক্ষিণস্বরূপ গ্রহণ করিয়া আর যাহা অবশিষ্ট থাকে তাহাই আপনি যজ্ঞের দক্ষিণ স্বরূপ গ্রহণ করুন।” তখন বিশ্বামিত্র বলিলেন— “আপনি কি উপায়ে ঐ ধন লাভ করিয়াছেন, তাহা বলুন। ঐ ধন যদি ন্যায়োপার্জিত না হয়, তবে, আমি তাহা ।