وهه& <2 "রক্ষার সহায় হইতে পারবেন জানিয়া, পরম প্রীতিই লাভ করিলেন। লক্ষ্মণ রামকে পিতৃ-আজ্ঞা লঙ্ঘন করিতে বারংবার অনুরোধ করেন, কিন্তু রাম সে সকল পরামর্শে কর্ণপাতই করিলেন না । কৌশল্যাও রামের বন-গমন সংবাদে আকুল হইয়া রোদন করিতে লাগিলেন এবং রাম বন-গমন করিলে বে তাহারও প্রাণত্যাগ ঘটবে, তাহ বলিয়া বারংবার তাহাকে মাতৃ-হত্য হইতে বিরত থাকিতে (অর্থাৎ বনে গমন না করিতে ) বলিলেন । কিন্তু রাম কোনও মতে পিতার সত্যভঙ্গের কারণ হইতে ইচ্ছুক হইলেন না। রাম জীবনী-কোৰ-ভারতীয় পৌরাণিক নদীসমূহ পার হইয়া দক্ষিণাভিমুখে অগ্রসর হইতে হইতে গঙ্গাতীরে উপস্থিত হইলেন। তথায় নিষাদদিগের অধিপতি গুহের সহিত র্তাহীদের সাক্ষাৎ হইল। গুহ রামচন্দ্রের যথোচিত অভ্যর্থনা করিয়া, তাহাকে তথায়ই বাস করিবার জন্য বারংবার অনুরোধ করেন । কিন্তু রাম, ঐ স্থান অযোধ্যার অতি নিকট বলিয়া,তথায় বাস করিতে অসম্মত হইলেন। পরদিন প্রাতঃ কালে গুহের আনীত নৌকায় আরোহণ করিয়া গঙ্গার অপর পারে গমন করিলেন এবং সুমন্ত্রকে বিদায় দিয়৷ সম্পূর্ণভাবে বনবাস আশ্রয় করিলেন। বনে গমন করিবেন শ্রবণ করিয়া, সীতাও তাহারা প্রথমে ভরদ্বাজের আশ্রমে তাহার সহিত গমনের ইচ্ছা জ্ঞাপন করিলেন । রাম কোনও মতে তাহাকে অনুগমন হইতে বিরত করিতে না গমন করেন । মহর্ষি ভরদ্বাজ তাহ|দিগকে চিত্রকূট পৰ্ব্বতে যাইয়া বাস করিতে পরামর্শ দিলেন । তদনুযায়ী দৃঢ়সংকল্প হইয়া রামের সহিত বনে গমন পৰ্ব্বতে গমন করিলেন। তথায় মহর্ষি করিবার জন্য প্রস্তুত হইলেন। অত: বাল্মীকির আশ্রম ছিল । তাহাব পর মুনিবেশ ধারণ করিয়া, গুরু- পরামর্শে রাম ও লক্ষ্মণ কাষ্ঠদি আহরণ জনদিগের নিকট বিদায় লইয়া লক্ষ্মণ ও সীতা সমভিব্যাহারে রাম অরণ্যাভিমুখে যাত্র করিলেন। তাহার প্রথম দিন ভ্রমণ করিয়া সন্ধ্যাকালে তমসা নদীর তীরে রাত্রি যাপন করেন এবং পরদিন নদী উত্তীর্ণ হইয়া আরও গভীর অৱশ্যে প্রবেশ করিলেন । ক্রমে বেজঙ্গতি, গোমতী, স্তলিকা প্রভৃতি করিয়া, এক মনোরম কুটার নিৰ্ম্মাণপূৰ্ব্বক পরম সুখে তথায় বাস করিতে লাগিলেন । (রামা-অষো-১,৩, ১১, ১৮-২২,২৪-৫৪) { রাম, লক্ষ্মণ ও সীতা যখন চিত্রকূট পৰ্ব্বতে বাস করিতেছিলেন তখন ভরত, মাতৃগণ ও অস্তান্ত আত্মীয় বন্ধুবান্ধবগণ-পরিবৃত इंदॆव, ब्रांबंबं हिद्रंझ। एषांबिंबॉद्रः
