১৭২৪ জীবনী-কোষ-ভারতীয়-পৌরাণিক । ৩২৫ । (৫) পীবরীর গর্ভে শুকদেবের ক্লিয়া হইয়া পড়িলেন। তখন একদিন ষে সন্তানগণ জন্মগ্রহণ করেন তাহদের ব্যাসদেব বিস্মিত হইয়া গর্ভস্থ সন্তানকে ৰাম—(ক) রুক, গেীর, গ্রন্থ, ভুরি ও উদেশ্ব করিয়া বলিতে লাগিলেন, “তুমি দেবশ্রুত নামে চারি পুত্র এবং কীৰ্ত্তি কে আমার পত্নীর গর্ভে প্রবিষ্ট হইয়াছ। নামে এক কস্তা। দেবীভা-১স্ব-১৯ । তুমি কেন নিষ্ক্রান্ত হইতেছ না । তুমি (খ) ভূরিশ্রব (ভূরিশ্রুত-বায়ু) প্রভু, কি আমার পত্নীকে বধ করিবে ?” শঙ্কু, কৃষ্ণ ও গেীর নামে পাচ পুত্র এবং কীৰ্ত্তিমতী নামে এক কন্যা । বায়ু-৭৩ । সৌর-৩০ । (গ) গৌরব, কৃষ্ণ, নীল ও কপিল নামে চারি পুত্র এবং ভামিনী নাম্নী কন্যা । শিব-ধৰ্ম্ম-১২ । (ঘ) কৃষ্ণ, গৌর ও শম্ভু নামে তিন পুত্র এবং কৃতী নামে এক কস্তা। পদ্ম-স্বষ্টি৯ । (ঙ) ভুরি, শ্রব, প্রভু, কৃষ্ণ ও গেীর নামে পাচ পুত্র এবং কীৰ্ত্তিমতী, যোগমাতা ও ধৃতব্ৰতা নামে তিন কস্তা। কুৰ্ম্ম-পূ-১৯ । (চ) ভূরিপ্ৰবা, কৃষ্ণ, গেীর, শম্ভু ও প্রভু নামে পাচ পুত্র এবং যোগমাতা নামে এক কক্ষ । লি-পু-৬৩ । (ছ) কৃষ্ণ, গেীর, প্রভু ও শম্ভু নামে চারি পুত্র এবং কৃত্বী । গর্ভস্থ শিশু উত্তর করিল—“আমি কে তাহা স্থির বলিতে পারি না । কারণ আমি রাক্ষস, পিশাচ, দের, মনুষ্য, গজ, তুরগ, কুকুট, ছাগ প্রভৃতিরূপে চতুঃসহস্ৰ যোনিতে ভ্রমণ করিয়াছি। বর্তমানে আমি মনুষ্য যোনিতে জন্ম লাভ করিয়াছি । আমি কোনও ক্রমে এই গর্ভ হইতে নিষ্ক্রান্ত হইব না । আমি যোগাভ্যাসে রত হইয়া এই গর্ভে বাস করিতেছি, এই স্থান হইতেই আমি মোক্ষলাভ করিব।” ব্যাসদেব বাব”বাব বালককে গর্ত হইতে নিষ্ক্রান্ত হইবার জন্য অনুরোধ করিতে লাগিলেন। তখন তাহার কাতর অনুরোধে শুকদেব মাতৃ গৰ্ভ হইতে বহির্গত নামে এক কন্ঠ । হরি-হরি-১৮ হইলেন। জন্মিয়াই তিনি স্বাদশ বর্ষীয (৬) জাবালি নামক মুনির কন্যা বটিক | বালকের ন্যায় প্রতীয়মান হইতে লাগিব্যাসদেবের পত্নী ছিলেন । বটিক লেন। তিনি গর্ভ হইতে নিষ্ক্রান্ত কালক্রমে গর্ভবতী হইলেন, কিন্তু দ্বাদশ হইয়াই মাতা পিতাকে প্রণাম করিয়৷ বর্ষ কাল গর্ভ প্রস্থত হইল না। গর্ভস্থ । তপস্তার জন্ত বনগমন করিতে উষ্ঠত শিশু গর্তে থাকিয়াই সাঙ্গবেদ, স্থতি হইলেন । ব্যাসদেব পুত্রকে গৃহে পুরাণ প্রভৃতি অধ্যয়ন করে । সে অবস্থান করিবার জন্য বারংবার অন্ধুকালৰ গর্তে থাকিয়াই স্বাধ্যায় পাঠ রোধ করিলেও, তিনি সম্মত হইলেন কঙ্কিত। এদিকে বটিকাও গৰ্ভভারে না। ব্যাসদেবের সহিত তাহার পুত্রের
