[ ه ده لا মানসে রাজা দশরথের নিকট উপস্থিত হইয়া রাম ও লক্ষ্মণকে প্রার্থনা করেন। রাজা দশরথ রাম ও লক্ষ্মণকে রাক্ষসবধার্থ প্রেরণ করিতে অনভিলাষী হইলেও কেবল বিশ্বামিত্রের ভয়ে তিনি দিতে সম্মত হইলেন । বিশ্বামিত্র র্তাহাদিগকে আনয়নপুৰ্ব্বক বলা ও অতিবলা মন্ত্রদ্বয় প্রদান করিলেন। পরে রাম তাড়ক রাক্ষসীকে বধ ও অহল্যার উদ্ধার সাধন করিয়া তাহাবু সহিত মিথিলায় উপস্থিত হইলেন । তথায় সীতার সহিত রামের, উৰ্ম্মিলার সহিত লক্ষ্মণের, ভরতের সহিত মাওবীর ও শক্রন্থের সহিত শ্ৰুতকীৰ্ত্তির বিবাহ হইল। রামাআদি-১৯—২৬, ৫০, ৭৩ । (৭) ভরত বংশে জহ, নামে এক রাজা ছিলেন। এই জহর পুত্র সিন্ধুৰীপ, সিন্ধুদ্বীপের শুনয় ৰলাকাখ, বলাকাশ্বের পুত্র বল্লভ, বল্লভের তনয় কুশিক, কুশিকের তনয় গাধি, গাধির ক্ষষ্ঠ সত্যবতী ও পুত্র বিশ্বামিত্র। চ্যবন মুনির পুত্র ঋচীক সত্যবতীকে বিবাহ করেন। ঋচীক এই বিবাহে এক সহস্ৰ অশ্ব শুল্কস্বরূপ প্রদান করিয়াছিলেন । সত্যবতী ও র্তাহার মাতা পুত্র লাভার্থ মহর্ষি ঋচকের নিকট প্রার্থনা করিলে, তিনি সত্যৰতীর মাতার জন্য বীৰ্য্যবান ক্ষত্রির পুত্র এবং সত্যবতীর জন্য ব্রহ্মবাদী পুত্র লাভের উপায়-স্বরূপ দুই প্রকার চরু প্রস্তুত করিয়া প্রদান করিলেন । কিন্তু জীবনী-কোষ—ভারতীয়—পৌরাণিক । তাহারা চরু পরিবর্তন করিয়া ভক্ষণ করিলেন । ঋচীক ইহা জানিতে পারিয়া সত্যবতীকে বলিলেন,“তোমার পুত্র ক্ষত্রিয়-ধৰ্ম্মাক্রান্ত হইবে।” কালে সত্যবতী জমদগ্নিকে ও র্তাহার মাতা বিশ্বামিত্রকে প্রসব করিলেন । মহাভাঅমুশা-৪ । সত্যবতী ও গাধি দেখ । (৮) বিশ্বামিত্র উত্তর দিকে অবস্থান করিতেন। মহাভা-অমুশ-১৫০ । (৯) বিশ্বামিত্র একজন গোত্রপ্রবর্তক ঋষি । র্তাহীদের বিশ্বামিত্র দেবরাত ও উদাল এই তিনট আর্ষেয় প্রবর। মৎ-১৯৮। (১০) বিশ্বামিত্র বৈবস্বত মন্বস্তরে সপ্তর্ষিদের অন্ততম ছিলেন। হরি-হরি৭ । (১১) গাধির বিশ্বামিত্র, বিশ্বরথ, বিশ্বকৃৎ ও বিশ্বজিৎ নামে চারি পুত্র ও সত্যবতী নামী এক কন্যা ছিল । বিশ্বামিত্রের অনেক পুত্র জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । তন্মধ্যে দেবরাত, দেবশ্রবা, কতি, শীলাবতীর গর্ভজাত হিরণ্যাক্ষ, রেণুর গর্ভজাত রেণুমান, সান্থতি, গালব, মদগল, দেবল, মধুচ্ছন্দ, অষ্টক, কচ্ছপ ও পূরিত প্রধান ছিলেন। অষ্টক দৃশদ্বতীর গর্ভজাত ছিলেন। এই সমস্ত পুত্রের মধ্যে শুনঃশেফ সৰ্ব্ব জ্যেষ্ঠ ছিলেন । হরি-হরি-২৭, ৩২ ৷ (১২) স্থাতীর্থে মহর্ষি বশিষ্ঠের আশ্রম ছিল । তাহারই পশ্চিম দিকে বিশ্বমিত্রের আশ্রম ছিল । তাহাঁদের মধ্যে পরস্পর বিবাদ ছিল । সেই সময়ে
