পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-কোষ—ভারতীয়—পৌরাণিক । শরীর হইতে নৈসর্গিক কবচ মোচন করিয়া ইন্দ্রকে প্রদান করেন। ইন্দ্র কবচ গ্রহণ করিয়া প্রতিদানে তাহাকে এক শক্তি অস্ত্র প্রদান করিয়া কহিলেন—“বৎস ! আমি তোমার অসাধারণ কাৰ্য্য দর্শনে সন্তুষ্ট হইয়া এই এক-পুরুষঘাতিনী শক্তি দিতেছি, গ্রহণ কর ইহাতে তোমার বিশেষ উপকার দশিবে । যাহার প্রতি এই অস্ত্র নিক্ষেপ করিবে তাহার আর নিস্তার থাকিবে না । সে অবশু্য ইহাতে নিপাতিত হইবে বসুষেণ স্বীয় শরীর ভেদ করিয়া ইন্দ্রকে কবচ প্রদান করিলেন বলিয়া তদবধি ক্ষিতিতলে তিনি কর্ণ ও বৈকৰ্ত্তন নামে অভিহিত হইলেন । আচাৰ্য্য দ্রোণ পাণ্ডুপুত্রদিগকে দিব্য ও মানুষ বিবিধ অস্ত্র শিক্ষা দিতেছেন, ইহা শ্রবণ করিয়া অন্ধক বংশীয় রাজা অধিরথ-পুত্ৰ কর্ণ ও অন্যান্য অনেক রাজকুমার র্তাহার নিকট শিক্ষার্থ আগমন করিলেন। কর্ণ অর্জুনের সহিত স্পৰ্দ্ধা করিয়া দুৰ্য্যোধনের সাহায্যে প্রকার । করিতে লাগিলেন । । পাগুবদিগকে নানা অবমাননা এই প্রকারে কিছুকাল গত হইলে র্তাহীদের অস্ত্রশিক্ষা সম্পন্ন হইল। $8Ꮔ এবং মহারাজ ধৃতরাষ্ট্রের আদেশে কৌরব ও পাণ্ডবেরা তাহাদের অস্ত্রশিক্ষার পরিচয় প্রদানার্থ এক সভায় সম্মিলিত হইলেন। সকলের শেষে অর্জুন স্বীয় অস্ত্রশিক্ষার পরিচয় প্রদানপূর্বক প্রস্থান করিবার উদ্যোগ করিতেছেন, এমন সময়ে কর্ণ সভাস্থলে প্রবেশপূর্বক অর্জুনকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন,—“হে পাৰ্থ! তুমি যেরূপ কৰ্ম্ম. করিয়াছ, সৰ্ব্বসমক্ষে আমি বিশেষরূপে সেই কাৰ্য্য সম্পাদন করিব । তুমি বিস্মিত হইও না।” কর্ণের বাক্যে দুৰ্য্যোধনের প্রীতি ও অৰ্জুনের লজ্জা ও ক্রোধের উদ্রেক হইল । তৎপরে দ্রোণের আদেশ অনুসারে কর্ণ অর্জুনের অকুরূপ অস্ত্র শিক্ষার পরিচয় প্রদান করিলেন । দুৰ্য্যোধন অতিমাত্র আহলা fদত্ত হইয়া কর্ণকে আলিঙ্গনপূৰ্ব্বক উৎসাহিত করিলেন । তখন কর্ণ অৰ্জ্জুনের সহিত দ্বন্দ্বযুদ্ধ করিতে উদ্যোগী হইলে, অর্জনও প্রস্তুত হইলেন । এই দ্বন্দ্বযুদ্ধে অনিষ্টের আশঙ্কা করিয়া কুশলী, কৃপাচাৰ্য্য কর্ণের পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন । কর্ণ কোন পরিচয় দিতে না পারিয়া রহিলেন । অধোমুখে দণ্ডায়মান তখন কর্ণ রাজকুমার নহে বলিয়া অৰ্জুনের সহিত দ্বন্ধ