পাতা:জীবনীকোষ-ভারতীয় পৌরাণিক-প্রথম খণ্ড.pdf/৯৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vፃb ] নামক অসুরকে বধ করেন। বিষ্ণু ৫ম-৮ । ধেমুক দেখ । বলদেব কংসের অন্যতম অনুচর মুষ্টিককে মল্লযুদ্ধে নিহত করেন। বিষ্ণু-৫ম-২০ কৃষ্ণ ও বলদেব অবন্তীপুরবাসী সান্দীপনি মুনির নিকট অস্ত্রশিক্ষা করিবার জন্য গমন করিয়াছিলেন। শিক্ষা সমাপ্ত হইলে তাহারা গুরু-দক্ষিণ দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন সান্দীপনি মুনি, লবণ-সমুদ্রে প্রভাসে মৃত স্বকীয় পুত্রকে গুরু দক্ষিণ-স্বরূপ আনিয়া দিতে বলিলেন। ভ্রাতৃদ্বয় তাহতেই সন্মত হইয়া যমপুরী গমনপূৰ্ব্বক, বৈবস্বত যমকে জয় করিয়া যথাপুৰ্ব্ব-শরীরী যাতনাসংস্থ বালককে আনয়ন করিয়া তাহার পিতার হস্তে সমর্পন করেন। বিষ্ণু৫ম-২১ ; অ-১২ ; দেবীভা-২৪ । এক বরি ব্ৰজপুরে বলদেব অন্তান্ত গোপগণের সহিত বিচরণ করিতেছিলেন। তাহ দেখিয়া বরুণ, বারুণীকে (মদিরাকে) বলদেবের উপভোগার্থ গমন করিতে আদেশ দেন । বরুণের আদেশে মদিরা বৃন্দাবনস্থ এক কদম্ব-বৃক্ষ কোঠরে সন্নিহিত হইল। বলদেবও ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতে করিতে সেই কদম্ব বৃক্ষের সন্নিকটে উপস্থিত হন এবং মদিরা গন্ধে আকৃষ্ট হইয়া কদম্ব বৃক্ষনির্গত মদিরা পান করেন। মদির পানে বিহ্বল হইয়া তিনি যমুনাকে আহবান করিয়া বলেন “হে যমুনে, তুমি জীবনী-কোষ—ভারতীয়—পৌরাণিক এই স্থানে আগমন কর, আমি স্নান করিতে ইচ্ছা করি।” কিন্তু যমুনা তাহার মত্ততা-সস্তৃত বাক্যে কর্ণপাত না করায় তিনি ক্র,দ্ধ হইয়া স্বীয় লাঙ্গল দ্বারা যমুনাকে গ্রহণ করিয়া তটের দিকে আকর্ষণ করিতে লাগিলেন । যমুনা বলদেবকর্তৃক আকৃষ্যমান হইয়া স্বকীয় গমনোপযোগী পথ পরিত্যাগ করিয়া যেখানে বলদেব ছিলেন সেই তট প্লাবিত করিয়া দিল এবং শরীর ধারণ-পূৰ্ব্বক জল হইতে উত্থান করিয়া বলদেবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতে লাগিল। তখন বলদেব তাহাকে মুক্তি দিয়া স্নান সমাপন করিলেন । স্নান সমাপ্ত হইলে লক্ষ্মী শরীরিণী হইয়া মনোহর অবতংসোৎপল এবং এক কুণ্ডল লইয়া বলদেবের নিকট আগমন করেন এবং তাহীকে বরুণ প্রেরিত অম্লান পঙ্কজমালা ও সমুদ্রের ন্যায় নীলবর্ণ দুইখানি বস্ত্র প্রদান করেন। বিষ্ণু-৫ম-২৫ । কুরুক্ষেত্র সমরের প্রাক্কালে বলদেব বন্ধুদিগের বধ-জনিত দুঃখ অসহনীয় বোধ করিয়া কোনও পক্ষ অবলম্বন না করিয়া মধ্যস্থ অবস্থায় তীর্থ যাত্রা করেন এবং অনেকানেক তীর্থ পরিভ্রমণ করিয়া শেষে নৈমিষারণ্যে উপস্থিত হন । সেখানে ব্যাস শিষ্য সুতর্তাহাকে দেখিয অঞ্জলি বন্ধন, প্রণাম বা উত্থান কিছুই করিলেন না দেখিয়া ক্রোধভরে হস্তস্থিত কুশদ্বারা