পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্রৌপদী এবং সকলের অগ্রে জাগরিত হুই” । রাজস্থয় যজ্ঞের পর যুধিষ্ঠির অক্ষক্রীড়ায় দ্রৌপদীকে পণে হারিলে, ইনি অতিশয় অপমান ও লাঞ্ছনা ভোগ করিয়াছিলেন। দুৰ্য্যোধনের আদেশে দুরাত্মা দুঃশাসন কেশাকর্ষণ পূৰ্ব্বক ইহঁাকে সভায় আনয়ন করে। ইহঁার পরিধেয় পাণ্ডববস্ত্র গ্রহণ করিতে আদিষ্ট হইলে, দুঃশাসন তাহ আকর্ষণ করে। ইহার কাতর উক্তিতে সভাস্থ কেহ তাহা নিবারণ না করিলে, ইনি আত্মহারা হইয়া আতি দীনভাবে দীনশরণ চুরির শরণাগত হইয়া আৰ্ত্তস্বরে আপ্ন তনয়নে তাহাকে ডাকিতে লাগিলেন । বিপদভঞ্জন হরি ইহঁার লজ্জা নিবারণ করিলেন । তখন ইনি ধৃতরাষ্ট্রের নিকট বর প্রাপ্তে দূতের পণ হইতে পাণ্ডবদিগকে মোচন করিলেন । যুধিষ্ঠির পুনরায় অক্ষক্রীড়ায় হৃতসৰ্ব্বস্ব হইলে, ইনি পুত্রগণকে দ্বারকায় প্রেরণ পূৰ্ব্বক চীরবন্ধল পরিধান করিয়া, পতিগণ সহ পদব্রজে বনগমন করিলেন। বনবাসকালে দ্রৌপদী স্বয়ং রন্ধন করিতেন এবং সাধ্যান্থসারে স্বামী ও অতিথিগণের পরিচর্য্যা করিতেন। কৃষ্ণ, ধৃষ্টদ্যুম্ন প্রভৃতি আত্মীয় স্বজন পাগুবদিগকে বনে [ ১২৬ ] দ্রৌপদী দর্শন করিতে আগমন করিলে, ইহঁার শোকসাগর উথলিয়া উঠে। ইনি বড় কৃষ্ণভক্ত ছিলেন, এবং তাহাকে আত্মীয় হইতেও আত্মীয়, স্বজন হইতেও স্বজন, জ্ঞান করিতেন । র্তাহাকে দেখিয়া ইনি শোকবেগ ধারণে অসমর্থ হইয়া অতি বিনীতভাবে বাষ্পপূর্ণ কণ্ঠে বলিলেন, “হে বিভো ! আমি তোমার সর্থী, পাণ্ডবদিগের পত্নী, এবং ধৃষ্টদ্যুমের ভগিনী হইয়াও কৌরব সভায় অপমানিত ও ও আকৃষ্ট হইলাম! হে মধুসুদন ! আমি বুঝিয়াছি আমার স্বামী নাই, আমার পুত্র নাই, আমার বান্ধব নাই, আমার ভ্রাতা নাই, আমার পিতা নাই, এবং আমার তুমিও নাই ! তোমরা কেহ থাকিলে সেই ক্ষুদ্রব্যক্তিগণ কি আমাকে সভায় অপমান ও উপহাস করিতে পারে ? হে কৃষ্ণ ! আমার প্রতি তোমার সম্বন্ধ, প্রভুত্ব, সখ্য, ও গৌরব ভাব আছে, এই চারিটা কারণে আমি তোমার সৰ্ব্বদা রক্ষণীয়” । কৃষ্ণ ইহঁার দুঃখে নিরতিশয় দুঃখিত হইয়া ইহঁাকে সাস্তুনা করিলেন । একদা জয়দ্ৰথ বনবাসকালে দ্রৌপদীকে হরণ করেন। পরে পাণ্ডবেরা তাহার পশ্চাৎ গমন পূৰ্ব্বক ইহঁাকে উদ্ধার ঋরিয়াছিলেন। দুৰ্য্যোধন, সেবায়ু সন্তুষ্ট করিয়া