झुंझैझुन्न সেনানী হইয়াছিলেন। ইনি এক জন মহারথী ছিলেন এবং তুমুল সংগ্রাম করিয়া কৌরব পক্ষের অনেক সৈন্ত ধবংস করেন । পঞ্চদশ দিবসের যুদ্ধে একমাত্র পুত্র হত হইয়াছে মনে করিয়া, অতি দীনচিত্তে দ্রোণ রথে উপবিষ্ট হইয়া যোগবলে তনু ত্যাগ করিলে, খৃষ্ট্যম খড়গাঘাতে র্তাহার শির শেছদন করেন। যুদ্ধশেষে অশ্বথামার রাত্রিহত্যাকাণ্ডে, ইনি সুপ্ত অবস্থায় তাহার দ্বারা আক্রান্ত হন। ক্ররমতি নিষ্ঠুর দ্রোণী ইহাকে সেই অবস্থায় যন্ত্রণ প্রদান পূৰ্ব্বক নিহত করেন। (মহ) ধেনুক—অস্থরবিশেষ। বৃন্দাবনের সন্নিধানে এ অস্থর বাস করিত। কৃষ্ণের পরামর্শে নন্দঘোষাদি বৃন্দাবনে গমন করিলে, অসুর অতি উপদ্রব করিতে আরম্ভ করে। বলরামের সহিত তালবনে ইহার যুদ্ধ হয় এবং তাহার হস্তেই অসুর প্রাণত্যাগ করে। (বিষ্ণু, হরি) ধৌম্য –পাণ্ডবদিগের পুরোহিত । ইনি অসিত ঋষির তনয়। উৎকোচক নামক তীর্থে আশ্রম স্থাপনপূর্বক তপোরত হইয়া, ইনি তপস্তায় বিশেষ উন্নতি লাভ করিয়াছিলেন । পাণ্ডবগণ উপযুক্ত পুরোহিতের জন্য চেষ্টত হইয়া চিত্ররথ গন্ধৰ্ব্বের [ ১৩৩ ] ধ্রুব পরামর্শে ইহার নিকট গমনপূৰ্ব্বক ইহঁাকেই পৌরহিত্যে বরণ করেন । ইনি পাণ্ডবদিগের সুখ দুঃখের ভাগী হইয়া রহিলেন । কি রাজত্ব কি বনবাস, ইনি সকল অবস্থায় তাহাদের সহিত অবস্থান পূৰ্ব্বক তাহাদের হিতচেষ্টা করিতেন। পাণ্ডবদিগের অজ্ঞাতবাসকালে ইনি পাঞ্চলে গমন পূৰ্ব্বক দ্রুপদরাজের অশ্রয়ে অবস্থান করেন । (মহ) ধ্রুব—প্রখ্যাত হরিভক্ত। উত্তানপাদ নরপতির ঔরসে এবং সুনীতির গর্ভে ইহঁার জন্ম হয় । একদা ধ্রুববৈমাত্র ভ্রাতা উত্তমকে রাজাসনে উপবিষ্ট পিতার ক্রোড়ে দর্শন করিয়া তথায় যাইতে চেষ্টা করেন। তদর্শনে সুরুচি ইহঁাকে বলিলেন, “তুমি আমার উদরে না জন্মিয়৷ তোমার অপ্রাপ্য রাজসিংহাসনে আরূঢ় হইবার জন্ত কেন বৃথা মহৎ অভিলাষ করিতেছ ? সুনীতির গর্ভে তোমার জন্ম, তুমি কি জান না” ? বিমাতার দুৰ্ব্বাক্যে এবং তাহার জন্ত পিতার অনাদরে অতীব ব্যথিত হৃদয়ে বালক ধ্রুব মাতার নিকট গমন পূৰ্ব্বক সমস্ত ব্যক্ত করেন । সুনীতি বলিলেন “সে দুঃখের আর প্রতীকার নাই, তবে কেবল দীনশরণ হরির কুপায় সৰ্ব্ব দুঃখ দূর হইতে পারে। তিনি ভিন্ন দীনজনের আর অন্ত উপায়
