পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নল [ ১৪১ ] নহুষ দ্যায়ানুসারে রাজ্য শাসন পূৰ্ব্বক পুত্ৰকলত্রে পরিবেষ্টিত হইয়া নলরাজ অবশিষ্ট জীবন সুখে অতিবাহিত করিয়াছিলেন । ( মহা ) নলকুবর-কুবেরতনয়। কথিত আছে যে অপসরা রম্ভ একদা ইহার নিকট যাইতেছিলেন, এমন সময় রাবণ তাহার প্রতিবন্ধক জন্মান । রম্ভার নিকট সমুদায় অবগত হইয়া এবং তপোবলে প্রকৃত ঘটনা জানিতে পারিয়া, ইনি রাবণকে অভিসম্পাত করেন যে ভবিষ্যতে কোন স্ত্রীর প্রতি বল প্রয়োগ করিলে, তিনি পঞ্চত্ন পাইবেন । কথিত আছে যে নলকুবর এবং তাহার ভ্রাতা মণিগ্রীব একদা জলক্রীড়ায় আসক্ত হইয়া দেবর্ষি নারদকে দেখিয়াও সম্মান প্রদর্শন না করায়, তিনি র্তাহাদিগকে অৰ্জ্জুন বৃক্ষরূপে পরিণত হইতে শাপ প্রদান করেন। পরে অর্জুন-বৃক্ষ হইয়া গোকুলে কৃষ্ণের স্পর্শে, ইহঁারা শাপমুক্ত হন । ( রামা, ভাগ ) নহুষ–চন্দ্রবংশীয় নরপতিবিশেষ। ইহার পিতার নাম আয়ু। ইনি অশোক সুন্দরীর পাণিগ্রহণ করিলে, র্তাহার গর্ভে ইহঁর যযাতি প্রভৃতি ছয়টি পুত্রের জন্ম হয়। ইনি অতি বীৰ্য্যবান ও পুণ্যবান ভূপতি ছিলেন । তুও নামক দৈত্যবধ করিয়া তাহার অত্যাচার হইতে জীবগণকে মুক্ত করেন । ইহঁার শাসনে দেশ হইতে দক্ষ্যভয় তিরোহিত হইয়াছিল। নহুষ যেমন শক্রদমনে রাজ্যশাসনে তৎপর ছিলেন, সেইরূপ ইন্দ্রিয়দমনে ও চিত্তশাসনে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন। ইনি সাধনা দ্বারা আত্মসংযম করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । ধৰ্ম্মশাস্ত্রপাঠে ইহঁার বিশেষ আসক্তি ছিল । মহারাজ নহুষ অতুল ঐশ্বৰ্য্য লাভ করিয়া ংযতচিত্তে ভোগ করিতেন। কথিত আছে যে ইনি একদা অজ্ঞানবশতঃ গো-বধ করেন। মহর্ষিগণ ইহঁার সেই পাপ একাধিক শত ংখ্যক ব্যাধিতে পরিণত করিয়া, ইহাকে অজ্ঞানকৃত পাপ হইতে মুক্ত করেন. নহুষরাজের খ্যাতি ত্রিলোকব্যাপ্ত হইল। কথিত আছে যে ব্রহ্মবধপাপে ইন্দ্র অভিভূত হইয়া নিশ্চেষ্টভাবে গোপনে বাস করিতে লাগিলে, ত্ৰৈলোক্য, রাজ অভাবে উশৃঙ্খল হইয়া উঠিল। তখন অনন্তোপায় হইয়া দেব ও ঋষিগণ প্রখ্যাত নহুষকে মনোনীত করিয়া ইন্দ্রত্ন পদে অভিষিক্ত করিলেন । ত্ৰৈলোক্যের রাজত্ব ভাগ করিতে প্রবৃত্ত হইলে,কিছুকাল পরে ইনি ভোগা সক্ত হন। মন ভোগরত্ব হইলে,