পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৰ্থীরাজ বিরুদ্ধে বিশেষ কোন চেষ্টা করিলেন না । বীরগণ মহম্মদকে বলিয়া পাঠাইয়াছিলেন, “যদি স্বীয় জীবন ভারবোধ করিয়া থাক, তবে ক্ষতি নাই। কিন্তু বহুলোকের অকাল মৃত্যুর কারণ হইও না। স্বদেশে প্রত্যাগমন কর, নচেৎ আমাদের রণমভসেনাগণ তোমাদিগকে প্রথম বারের ন্তায় ছিন্ন ভিন্ন করিবে” । তিনি উত্তর প্রদান করেন, “আমি জ্যেষ্ঠের অাদেশে যুদ্ধে আসিয়াছি । তাহার অনুমতি ভিন্ন প্রত্যাগমন করিতে পারি না । যাবৎ অনুমতি না আইসে তাবৎ যুদ্ধ বন্ধ রাখিতে পারি” । মহম্মদের কথায় বিশ্বাস করিয়া হিন্দুসৈন্য অসাবধানভাবে অবস্থান করিতে লাগিল । মহম্মদ, সকল সংবাদ রাখিতেন এবং সৰ্ব্বদা বিপক্ষ শিবিরের অবস্থ৷ পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেন । একদা তমসাছন্ন রজনীতে মহম্মদ কিয়দংশ সৈন্তসহ নদী পার হইয়া অলক্ষিত ভাবে পৃথ্বীরাজের সেনা আক্রমণ করিলেন। স্বপ্তোথিত হিন্দুসৈন্ত বিশৃঙ্খলতা প্রাপ্ত হইল। পৃথ্বীরাজ, সমরসিংহ প্রভৃতি বীরদিগের প্রত্যুৎপন্নমতিতায় ও চেষ্টায় হিন্দুসৈন্ত সুনেক পরিমাণে শৃঙ্খলাবদ্ধ হইল। কিন্তু মহম্মদের > * [ ১৬১ ] কথিত আছে যে হিন্দু পৌণ্ডক সৰ্ব্বসৈন্ত ইতিমধ্যে নদীপার হইয়া বিপুল বিক্রমে বিপক্ষ আক্রমণ করিল। সম্পূর্ণরূপে শৃঙ্খলাবদ্ধ না হওয়ায় হিন্দুসৈন্ত সে হ্রদর্মিনীয় বেগ সহ করিতে না পারিয়া ছত্রভঙ্গ হইয়া পড়িল । মহম্মদ সৰ্ব্ব সেনাসহ সেই সময় হিন্দুদিগের উপর জলপ্রপাতের ন্যায় পতিত হইলেন। ক্রমে যুদ্ধশেষ হইয়। হত্যাকাণ্ড আরম্ভ হইল । পৃথীরাজপ্রমুখ বীরগণ পলায়ন পূৰ্ব্বক জীবন ধারণ করিতে অনিছুক হইয়া অসীম বিক্রম প্রকাশে যুদ্ধ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। বীরবর সমর সিংহ অসংখ্য শক্রসেনা ধ্বংস করিয়া রণস্থলশায়ী - হ ইলেন । পৃথ্বীরাজ যুদ্ধ করিতে করিতে শক্ৰ হস্তে বন্দী হইলেন । কথিত আছে যে জীবিত অবস্থায় সৰ্ব্বৰ্ণবয়ব হইতে চৰ্ম্ম ছেদন পুৰ্ব্বক ইহঁাকে বধ করিবার আদেশ হয়। পৃথ্বীরাজের জীবনের সহিত হিন্দুরাজলক্ষ্মী ভারত হইতে বহুকালের জন্য অন্তৰ্হিত হইলেন। (ইতিহাস) পৌণ্ড,ক—রাজ বিশেষ । ইনি নরক রাজার সথা ছিলেন । নরক নিহত হইলে, ইনি কৃষ্ণের বিরুদ্ধাচরণে প্রবৃত্ত হন । র্তাহার যে সমুদায় আয়ুধ ছিল, ইনিও তৎতুল্য অস্ত্র সকল নিৰ্ম্মাণ পূৰ্ব্বক সেই সেই নামে অভিহিত করেন । কৃষ্ণের