পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভীষ্ম অতি ভীষণ সমর আরম্ভ হইল । ত্রয়োবিংশতি দিবস তুমুল সংগ্রামের পর পরশুরাম পরাজয় স্বীকার পূৰ্ব্বক প্রস্থান করেন। অস্ত্রধারী শ্রেষ্ঠ জামদগ্নিকে পরাস্ত করায়, ইহার যশ চতুর্দিকে ব্যাপ্ত হইল । ধৃতরাষ্ট্র, পাণ্ডু ও বিদুরের জন্ম হইলে, ভীষ্ম র্তাহাদিগকে অভি ঘত্বের সহিত লালন পালন করিলেন । বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে, তাহদিগকে উপযুক্ত পাত্রীতে বিবাহ দিলেন। পাণ্ডর মৃত্যু হইলে, ইনি নিরতিশয় দুঃখিত হইলেন। কুরুপাণ্ডব বালকবৃন্দের শিক্ষার জন্য ইনি প্রথমে কৃপাচার্য্য পরে দ্রোণাচাৰ্য্যকে নিযুক্ত করিলেন। র্তাহদের শিক্ষার উন্নতি দর্শনে ইনি অতীব সুখী হইলেন। পাণ্ডবদিগের প্রতি দুৰ্য্যোধনাদির মনোভাব অবগত হইয়া ইনি অতিশয় দুঃখিত হইলেন। কিন্তু সৰ্ব্বতোভাবে রাজার অধীন থাকাই ধৰ্ম্মের অনুমোদিত, ইহা মনে করিয়া ইনি উপদেশ দান ভিন্ন দুৰ্য্যোধনের ফুস্কৰ্ম্মের কোনরূপ প্রতীকার করিতে পারিতেন না । রাজার অন্তান্ত কৰ্ম্মচারীর দ্যায় ইনি আপনাকে মনে করিতেন। দূতক্রীড়ার সভায় ইনি তজ্জন্ত পাঞ্চালীর অপমান সহ্য করিয়াছিলেন এবং পাণ্ডবদিগের বিরুদ্ধে অশেষ দেীরাত্ম্যেও প্রতি [ ২১১ ] বন্ধক হইতে পারেন নাই। উত্তর গোগৃহে কুরুসৈন্য সহ ইনি গমন করিয়া অৰ্জ্জুনের নিকট পরাস্ত হন। ভারতযুদ্ধ উপস্থিত হইলে, ভীষ্ম দুৰ্য্যোধনকে সৎপরামর্শ প্রদান পূর্বক যুদ্ধে প্রতিনিবৃত্ত হইতে উপদেশ দিয়াছিলেন । দুর্য্যোধন তাহাতে কর্ণপাত না করিলে, ইনি কুরুকুল ধ্বংসের বিষয় নিশ্চিত হইলেন। কিন্তু সেই বিপত্তি কালে কাপুরুঘের ন্যায় তাহাকে পরিত্যাগ করা অসঙ্গত মনে করিয়া পাণ্ডবদিগের রিরুদ্ধে সমরে জীবন বিসর্জন দিতে কৃতৃনিশ্চয় হইলেন । ইনি কুরুসেনার নায়ক হইয়া যুদ্ধে প্রথম দশ দিবস ঘোরতর সমর করেন । ইহঁার প্রতিজ্ঞ ছিল যে প্রত্যেক দিবস দশ সহস্র বিপক্ষরথী বিনাশ করিবেন, এবং কৃষ্ণকে যুদ্ধে অস্ত্র ধরাইবেন । মহাবীর অৰ্জ্জুনের শতচেষ্টা সত্বেও ইনি প্রত্যেক দিন দশ সহস্র রথী শমন সদনে প্রেরণ করিতেন। যুদ্ধের তৃতীয় এবং নবম দিবসে ইনি এতাদৃশ দারুণ সমর করিতে প্রবৃত্ত হইলেন যে কৃষ্ণ ইহঁাকে নাশ করিতে অস্ত্র ধারণ করেন, কিন্তু অৰ্জ্জুনের অনুরোধে প্রতিনিবৃত্ত হন। ভীষ্মের নিয়ম ছিল যে নপুংসকরূপে জাত শিখওঁীকে প্রহার করিবেন না। দশম