মান্ধাত [ ২২৩ ] মাল্যবান লেন। ইনি মধুবনে উপনীত হইয়া লবণপ্রক্ষিপ্ত শূলে নিহত হন। (রামা মায়াবতী—রতির নামান্তর। হর কোপানলে রতি বিধবা হইয়া, দেবাদেশে জানিতে পারেন যে কৃষ্ণের পুত্ররূপে কামদেবের জন্ম হইবে। সেই শিশুকে ষষ্ঠদিনে শম্বর দৈত্য হরণ করিবে। রতি মায়াবতী নাম ধারণ পূর্বক শম্বর দৈত্যের আলয়ে অবস্থান করেন। প্রত্যুম্ন হৃত হইয়া সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হইলে, একটা মৎস্ত র্তাহাকে গ্রাস করিয়া ধৃত হয়। সেই মৎস্ত অসুর গৃহে নীত হইলে, মায়াবতী তাহার উদরে পতিকে প্রাপ্ত হইয়া লালন পালন করেন। ইনি র্তাহাকে সমুদায় আক্ষরিক মায়া বিদ্যায় শিক্ষিত করেন । প্রত্যুম্ন বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে, ইনি র্তাহাকে সমুদায় ঘটন। জ্ঞাপন করান। শম্বর নাশ হইলে, মায়াবতী প্রদ্যুমের সহিত দ্বারকায় গমন করিয়া তাহার পত্নীরূপে গ্রহীত হইলেন। (হরি) মায়াবী—দুন্দুভির জ্যেষ্ঠ পুত্র, অম্বর বিশেষ। পিতৃহন্ত বালীকে বধ করিবার মানসে এ অসুর কিষ্কিন্ধায় উপস্থিত হয়। বালী যুদ্ধার্থ উদ্যত হইলে, মায়াবী ভয়ে পলায়ন করিয়া ভূবিবর মধ্যে প্রবেশ করে। বালী ইহার অনুসরণ করিয়া, ইহাকে বধ করে । (রামা) মারীচ—রাক্ষস বিশেষ। তাড়ক ও সুন্দ ইহার মাতা পিতা । রাক্ষস, বিশ্বামিত্র মুনির যজ্ঞের বিঘ্ন উৎপন্ন করিত। রাম ও লক্ষ্মণ যজ্ঞরক্ষার্থ গমন করিয়া ইহাকে দূরীভূত করেন। রাম বনে গমন করিলে একদা মারীচ হরিণ রূপ ধারণ পূর্বক তাহাকে ভক্ষণ করিতে আইসে। পরে রামের শরের ভয়ে পলায়ন পূর্বক সমুদ্রতীরে তাপসবেশে বাস করে। অতঃপর সীতাহরণ করিবার জন্তা রাবণের আদেশে মারীচ স্বর্ণমৃগ রূপ ধারণ করিয়া সীতার সম্মুখে উপস্থিত হয়। সীতা রামকে মৃগ ধরিতে অনুরোধ করিলে, তিনি ইহার পশ্চাৎ ধাবিত হন। পরে মারীচ রামের বাণে বিদ্ধ হইয়া রামের কণ্ঠের ন্যায় স্বরে “ হায় লক্ষ্মণ, হায় সীতা” বলিয়া প্রাণত্যাগ করে। (রামা) মার্কণ্ডেয়—মুনি বিশেষ। ইনি মুনিবর মৃকণ্ডুর পুত্র ছিলেন। ইনি কল্পান্তজীবী । (পুরাণ) মাল্যবান—মুকেশ রাক্ষসের পুত্র । কথিত আছে যে মাল্যবান তপস্তায় ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করিয়া বর প্রাপ্ত হয় । সেই বরের প্রভাবে মনোরম্য স্বর্ণ লঙ্কায় সে বন্ধুবান্ধরের
