পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লবণ [. २¢8 ] প্রেরণ করেন। শক্রম্ন মধুবনে উপস্থিত হইয়া ইহাকে নিহত করেন। (রামা) লীলাবতী—ভাস্করাচার্য্যের কন্যা। ইনি গণিত ও জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশেষ বুৎপত্তি লাভ করিয়াছিলেন। পিতার একমাত্র কন্যা বলিয়া, ইনি অতি যত্নে প্রতিপালিত ও শিক্ষিত৷ হইয়াছিলেন । বলে ইহঁার পিতা জানিতে পারেন যে, ইনি পতিপুত্রহীন হইবেন। তিনি দুঃখিত হইয়া স্থির করি লেন যে, এমন শুভ লগ্নে কন্যার বিবাহ দিবেন যে, কন্যা পতিপুত্রবর্তী হন। শুভ লগ্নে বিবাহ স্থির করিয়া সফলে সেই সময়ের অপেক্ষ করিতে লাগিলেন। সময় নির্দিষ্ট করিবার জন্য, একটী পাত্র ছিদ্র করিয়া,তাছা জলের উপর ভাসাইয়া, রাপা হইল। স্থির হইল যে, সেই পাত্রটা জলে পূর্ণ হইলে শুভ লগ্ন হইবেক । সকলে সমুৎসুক নেত্রে সলিলোপরি পাত্রের প্রতি দৃষ্টি করিতে লাগিলেন । বালস্বভাব প্রযুক্ত লীলাবতী সেই পাত্রের উপর মস্তক নত করিয়া দেখিতেছিলেন। ইতি মধ্যে, ইহঁার মস্তকস্থিত বিবাহের মুকুট হইতে একটী ক্ষুদ্র মুক্ত সেই পাত্রে জলবিম্ববৎ পতিত হইয়া জলপ্রবেশের পথ রুদ্ধ করিল। লগ্নের আনুমানিক কাল জ্যোতিষ বিদ্যা লোপা, . লোপা অতীত হইতে দেখিয়া, সকলে অনুসন্ধানে প্রকৃত তত্ত্ব জানিতে পারিলেন। ভাস্করাচার্য্য দুঃখিত হইলেন এবং দৈব অতিক্রম করা অসাধ্য বিবেচনায়, কন্যার বিবাহ দিলেন । বিবাহের কিছুকাল পরে, ইনি বিধবা হইলেন । অতঃপর লীলাবতী পিতা কর্তৃক বিশেষ যত্ন সহকারে শিক্ষিতা হইতে লাগিলেন । ইহঁার নাম চিরস্মরণীয় করিবার বাসনায়, ভাস্করাচার্য্য স্বপ্রণীত “সিদ্ধান্ত শিরোমাণ” নামক গ্রন্থের প্রথম অধ্যায় “লীলাবতী” নামে পাটীগণিত প্রণয়ন করেন। পিতা প্রশ্ন করিতেছেন এবং কন্ত। তাহার উত্তর দিতেছেন, এইরূপ ভাবে পুস্তকখানি লিখিত হইয়াছে। উক্ত পুস্তক প্রণয়নে লীলাবতীর যে কোন হাত ছিল না, এরূপ বোধ হয় না। সম্ভবতঃ লীলাবতী পিতার দ্বারা চালিত হইয়া সেই পুস্তক প্রণয়ন করিয়াছিলেন । লোপামুদ্রা—ঋষিবর অগস্ত্যের পত্নী। কথিত আছে যে, মনোমত স্ত্রীর জন্ত মহর্ষি ভিন্ন ভিন্ন জীবের উৎকৃষ্ট অংশ লইয়া, একটী কন্যা স্বষ্টি করেন। পরে উক্ত কন্ত বিদর্ভরাজের নিকট, প্রেরিত . হইয়া লোপা বা লোপামুদ্রা নামে খ্যাত হইলেন। বয়ঃপ্রাপ্ত হ’লে