ংযথা [ २१¢ ] মূৰ্ত্তির গলদেশে বরমাল্য অর্পণ করিলেন। কথিত আছে যে, পৃথ্বীরাজ ইছার মনোভাব পূৰ্ব্বেই অবগত হইয়া, শুভ ঘটনার আশায় স্বীয় প্রতিমূৰ্ত্তির নিকট ছদ্মবেশে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ইহঁাকে তৎক্ষণাৎ স্বীয় অশ্বে আরাঢ় করিয়া, দিল্লীর অভিমুখে ধাবিত হইলেন। জয়র্চাদ সবন্ধ বান্ধবে ইহঁাদের পশ্চাদ্বত্তী হইলেন । ষষ্ঠ দিবস পথে বিপক্ষের সহিত যুদ্ধ করিয়া, পৃথ্বীরাজ জয়লাভ পূৰ্ব্বক ইহঁাকে লইয়া, রাজধানীতে উপস্থিত হইলেন। পরে মহাসমারোহে উভয়ের উদ্বাহক্রিয় সুসম্পন্ন হইল । সংযথা মনোমত পতি প্রাপ্ত হইয়া, অতুল সুখ সম্ভোগ করিতে লাগিলেন। কিন্তু ইহঁর ভাগ্যে সে সুখ দীর্ঘকাল স্থায়ী হয় নাই। জয়চাদ ষড়যন্ত্র করিয়া দিল্লীপতির বিরুদ্ধে মহম্মদ ঘোরীকে আনয়ন করেন। প্রথম যুদ্ধে পৃথ্বীরাজ জয়লাভ করিলে, সংযথা মনে করিলেন যে বিপদের শাস্তি হইল। কিন্তু ১১৯৩ খৃষ্টাব্দে, মহম্মদ বহু সৈন্তসহ পুনরায় ভারতে আগমন করেন । কথিত আছে যে, সংযথা দুঃস্বপ্ন দর্শনে যুদ্ধে অমঙ্গল আশঙ্কা করিয়াছিলেন । কিন্তু বীর রমণী পতিকে বীরকার্য্য হইতে বিরত হইবার প্রবৃত্তি না দিয়া, বরং তঁাহাকে উৎসাহ প্রদান সগর করিলেন । ইনি বাষ্পাপ্নত নয়নে, • স্বীয় হস্তে স্বামীকে বীরবেশে সজ্জিত করিলেন । অতি কষ্টে আত্মসংযম পূৰ্ব্বক ভৰ্ত্তাকে যুদ্ধে বিদায় দিয়া, ইনি শয্যার আশ্রয় লইলেন । পতিকে বিদায় দিয়া প্রতিপ্রাণ ংঘথা জলমাত্র গ্রহণে জীবন ধারণ করিতেছিলেন । যুদ্ধের নিদারুণ সংবাদ দিল্লী পৌছিলে পৃথ্বীরাজবিরহে ইনি সমস্তই শূন্ত দেখিতে লাগিলেন । কর্তব্য কায্য অগ্ৰেই স্তির করিয়া রাথিয়াছিলেন। পতির ধ্যান করিয়া, পতির চিহ্ন সংঙ্গে লইয়া, সংযথা জলন্ত চিতায় আরোহণ পূর্বক সুখদুঃখের অতীত স্থানে উপস্থিত হইলেন । ( রাজস্থান ) সগর—স্বৰ্য্যবংশীয় বিখ্যাত নৃপতি। ইনি রাজা অসিতের পুত্র। ইহার জন্মের সময়, অসিত শক্ৰকৰ্ত্তক রাজ্যভ্রষ্ট হইয়া, হিমালয় প্রদেশে সস্ত্রীক বাস করিতেন। অসিতের মৃত্যুকালে, ইনি মাত কালিন্দাদেবীর গর্ভে ছিলেন। সগর 4য়ঃপ্রাপ্ত হইয়া পিতৃরাজ্য উদ্ধার পূৰ্ব্বক, তথায় সুখে রাজত্ব করিতে লাগিলেন। ইহার স্ত্রী শৈব্যার গর্ভে একটী কন্যা, ও অসমঞ্জ নামক একটা পুত্র হয়। ইহার অপর স্ত্রী বৈদভী এক মাংসপিণ্ড
