পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিরণ্যাক্ষ যে, হিরণ্যাক্ষ পৃথিবীকে লইয়া পাতালে প্রব্যে’ করে। অবশেষে বিষ্ণু বরাহ মূৰ্ত্তি ধারণ পূৰ্ব্বক, ইহঁাকে নিহত করিয়া পৃথিবীকে উদ্ধার করেন। (ভাগবত) হেমচন্দ্ৰ—বিখ্যাত পণ্ডিত। ইনি জৈন সম্প্রদায়-ভুক্ত ছিলেন । ইহঁার প্রণীত”অভিধান চিন্তামণি" প্রসিদ্ধ। হেমা—অন্সর বিশেষ। ময়দান বের ঔরসে, ইহঁার দুহিত রাবণপত্নী মন্দোদরীর জন্ম হয় । (রামা) হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়—বঙ্গের বিখ্যাত কবি। ইনি ১৮৩৮ খৃষ্টাব্দে, হুগলি জেলার অন্তঃপাতী গুলিটা নামক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ইহঁার পিতার নাম কৈলাসচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় । হেমবাবু বাল্যকালে গুরুমহাশয়ের পাঠশালায় যথারীতি শিক্ষিত হন। অতঃপর বিংশতি বৎসর বয়সে খিদিরপুরে আগমন পূৰ্ব্বক, কলিকাতায় হিন্দু কলেজে অধ্যয়ন করেন । তৎপরে প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রবেশ পূর্বক তথায় জুনি [ ২৯৯ ] যুদ্ধে পরাস্ত করেন। কথিত আছে হেমচন্দ্র য়ার বৃত্তি প্রাপ্ত হন এবং প্রবেশিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বিদ্যালয় পরিত্যাগ করিয়া হেমবাৰু কয়েক বৎসর বিযয় কার্য্যে লিপ্ত হন। সেই সময়ে বি,এ, এবং বি,এল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলেন। অনন্তর কয়েক মাস মূন্সেফের কার্য্য করিয়া, ১৮৬২ খৃষ্টাব্দে কলিকাতায় হাইকোর্টে ওকালতি কাৰ্য্য আরম্ভ করেন। বিদ্যা বুদ্ধি, সততা, ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়া, ইনি সকলের শ্রদ্ধার পাত্র হইয়াছেন। হেমবাবু একজন স্বাভাবিক কবি। মেঘনাদবধ কাব্যের টীকা ও সমালোচনা করিয়া, ইনি স্বীয় বিদ্যাবুদ্ধি এবং কাব্যপ্রিয়তার পরিচয় দিয়াছিলেন। মধুসূদনের পর,ইনি স্বীয় কবিতার উচ্ছাসে বঙ্গবাসীকে মোহিত করিয়াছেন। ইহার নূতন ছন্দে এবং সুললিত ভাষায় বঙ্গীয় পাঠক মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় হইল। ইহার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কবিতাগুলি অতুলনীয় । ইনি নিম্নলিখিত কবিতাগ্রন্থগুলি প্রণয়ন করিয়াছেন—চিন্তাতরঙ্গিণী, বৃত্রসংহার কাব্য, ছায়াभप्रैौ, लभं प्रशंबिला, वैौद्रवांछ्कांबा, এবং কবিতাবলী । = 0یوه و)--