পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কেশবচন্দ্র “ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ” সংস্থাপন । করেন। অতঃপর কেশব বাৰু ধৰ্ম্ম প্রচারে যত্নশীল হইয়া অসাধারণ বাগিতায় শ্রোতৃবর্গকে মোহিত করিতে লাগিলেন । ধৰ্ম্ম প্রচারার্থ ইনি ভারতের অনেক স্থানে গমন করিয়াছিলেন । সৰ্ব্বত্রই ইহার বক্তৃতায় মুগ্ধ হইয়া অনেকে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন । ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে কেশব বাবু ইংলণ্ডে গমন করেন। সেখানে ইহার মোহিনী বক্তৃতা শুনিয়া সকলে আশ্চর্ষ্যান্বিত হইল। ধৰ্ম্ম ও বিদ্যায় বিখ্যাত লোকদিগের সহিত ইহার পরিচয় হয় । স্বয়ং মহারাণী ভিকটোরিয়া ইহাকে নিমন্ত্রণ করেন। নানাস্থানে বক্তৃতা করিয়া ছয়মাস পরে ইনি দেশে প্রত্যাগমন করেন । অতঃপর ইনি নানাবিধ লোকহিতকর কার্য্যে লিপ্ত হন । ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে কেশবচন্দ্রের কন্যার সহিত কুচবিহারের মহারাজের বিবাহের প্রস্তাব হয়। ইত্যগ্রে ইনি ব্রাহ্মদিগের বিবাহের বয়স কন্যার পক্ষে চোঁদ ও পাত্রের পক্ষে অষ্টাদশ বৎসর নিৰ্দ্ধারিত করিয়া তাহা বিধিবদ্ধ করেন। বর ও কন্যা উক্ত বয়স প্রাপ্ত না হওয়ায় সেই নিয়মানু সারে অনেক ব্রাহ্ম এই বিবাহ ব্ৰাহ্ম বিবাহ বলিয়া পরিগণিত করেন না । = কেশব বাবু প্রকাশ করেন যে বাক্ [ q> ] দান হইতেছে মাত্র। সে যুক্তিতে আপত্তিকারীরা সন্তুষ্ট না হওয়ায়, ইনি অনেক ব্রাহ্মের অমতে স্বীয় বিবেকের বশবৰ্ত্তী হইয়া এই বিবাহ সম্পাদন করেন । বিবাহের পর অধিকাংশ ব্রাহ্ম তাহার নেতৃত্ব ত্যাগ করিয়া “সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ” স্থাপন করেন । ১৮০১ শকে কেশব বাবু “নববিধান” ধৰ্ম্ম প্রচার করেন । ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ভিত্তির উপর নববিধান প্রতিষ্ঠিত করিয়া অন্যান্ত ধৰ্ম্মগ্রস্থ হইতে কতকগুলি নিয়ম তাহার সহিত একত্রিত করিলেন—ষথা হোম, ধৰ্ম্মগ্রন্থ ( ও নিশান,) আরতি করা, কমল সরোবরের জল দ্বারা অভিষিক্ত করা, ইত্যাদি । শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে এবং মানসিক শ্রমের আতিশয্যে, কেশবচন্দ্র ১৮০৩ শকে বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত হন । চিকিৎসায় প্রথম প্রথম রোগ উপশম হইল বটে, কিন্তু সম্পূর্ণ আরোগ্য হইল না। চকিৎসকের আদেশে ইনি এই সময় প্রত্যহ দুই তিন ঘণ্টা ছুতরের কার্য্য করিতেন। কিন্তু রোগ ক্রমে কঠিন হইতে লাগিল। অবশেষে ">vャペ) খৃষ্টাব্দে কেশবচন্দ্র মানবলীলা সম্বরণ করিলেন । মহাত্মা কেশবচন্দ্র সেন একজন ক্ষণজন্ম। পুরুষ ছিলেন । র্তাহার