পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অক্ষয়কুমার হইয়া সম্পাদকের কার্য্য ত্যাগ করিতে বাধ্য হন । পীড়াগ্রস্ত হইয়া অক্ষয়কুমার বালীতে বাস করিতেন । সেখানে উদ্যান সমেত একটী বাড়ী ক্রয় করিয়া উক্ত উদ্যানে নানাবিধ উদ্ভিদ সংগ্রহ করেন । দারুণ পড়ার অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করিয়া ১২৯৩ সালে এই মহাত্মা জীবন সম্বরণ করেন । অক্ষয়কুমার একজন প্রকৃত ধাৰ্ম্মিক লোক ছিলেন। সমাজ হইতে কুসংস্কার সকল দূর করিবার জন্য ইনি নানা প্রবন্ধ লিখিয়াছেন! ইহার মধুর লেখনী হইতে নিম্নলিখিত পুস্তক সকল নিঃস্থত হইয়াছে—বাহাবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার ; চারুপাঠ তিন ভাগ ; পদার্থবিদ্যা; ধৰ্ম্মনীতি ; ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায় দুই ভাগ ; ইত্যাদি। অগস্ত্য—বিখ্যাত মুনি বিশেষ। দেব মিত্রাবরুণের ঔরসে উৰ্ব্বশীর গর্ভে ইহার জন্ম হয়। ইনি মহা ক্ষমতাশালী তপস্বী ছিলেন। কথিত আছে যে কালেয় অস্থরগণ সমুদ্রে লুকাইয়া থাকিত বলিয়া দেবতারা তাহাদিগকে বিনাশ করিতে অক্ষম হন । দেবতাদিগের অনুরোধে ইনি সমুদ্র পান করিলে, অমুরগণ বিনষ্ট হয়। [ ৩ ] অগস্ত্য বংশ রক্ষার্থ অগস্ত্য বিবাহের জন্য অভিলাষী হইয়া সমুদায় জীবের শ্রেষ্ঠাঙ্গ লইয়া একটী মনোহর কন্যার স্বষ্টি করেন। সেই কষ্ঠা বিদর্ভরাজের গৃহে পালিত হইয়৷ লোপামুদ্রা নামে অভিহিত হন। তাহার সহিত মুনির বিবাহ হয়। অতঃপর স্ত্রীর ইচ্ছানুরূপ অর্থ সংগ্রহের জন্য অগস্ত্য বহিষ্কৃত হইয়া ক্রমান্বয়ে তিনজন রাজার নিকট গমন করেন । তাহাদিগের দ্বারা ঈপ্সিত অর্থ সংগৃহীত না হওয়ায়, ইনি তাহাদিগের সহিত ইল্বলের নিকট উপস্থিত হইলেন। দানবরাজ অতিথিদিগের বিনাশীর্থ মৃগরূপ নিজ ভ্রাতা বাতাপির মাংস দ্বার। ইহাদের ভোজনের আয়োজন করে। তাহার অভিসন্ধি বুঝিতে পারিয়া, মুনিবর আহারান্তে তপোবলে বাতাপিকে জীর্ণ করিয়া ফেলিলেন । তখন ইম্বল ভয়ে ইচ্ছানুরূপ অর্থ দিয়া ইহাকে বিদায় করে। ( অন্ত মতে ইম্বলও নিহত হয় । ) অগস্ত্য বিন্ধ্যাচল পৰ্ব্বতের গুরু ছিলেন। কথিত আছে যে অনুরুদ্ধ হইয়া স্থৰ্য্য বিন্ধ্যকে প্রদক্ষিণ করিতে অস্বীকৃত হইলে, পৰ্ব্বতবর নিজ কলেবর বৃদ্ধি করিয়া সুৰ্য্যের পথ অবরোধ করিতে উদ্যত হন । দেবগণ ইহার নিকট সমুদায় জ্ঞাপন করিয়া সাহায্য প্রার্থনা