পাতা:জীবনী-কোষ - দ্বারকানাথ বসু.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ऊर्मैिल। আছে যে ইনি বাল্যকালে পাঠশালায় যাইবার সময় পথে একদা ভয় পান । ভয়ের কথা মাতাকে বলায়, ধাৰ্ম্মিক মাতা ইহঁাকে **গোবিন্দ” নাম করিতে বলেন । গোবিন্দের বিষয় ইনি মাতাকে জিজ্ঞাসা করিয়া অবগত হইলেন যে তিনি সকল সময় সৰ্ব্বত্রই থাকেন এবং বালকদিগের সহিত খেলাও করেন ৷ জটিল এসব শুনিয়া মহা আনন্দিত হইলেন। অতঃপর একদিন পাঠশালায় যাইবার সমর জটিল পথে ভয় পাইয়া অতি ব্যাকুল হইয়া সৰ্ব্বান্তঃকরণে “ সখে গোবিন্দ, সখে গোবিন্দ ” বলিয়া ডাকিতে লাগিলেন । ভক্তের ব্যাকুলতায় ভয়ত্রাতা হরি বালকরাপে উপস্থিত হইয়া ইহঁার ভয় মোচন করেন। অতঃ– পর দুইজনে সেখানে খেলা হইল। জটিল প্রায়ই এইরূপে পথে সখা গোবিন্দের সহিত খেলা করিতেন । একদা গুরু মহাশয়ের পিতৃশ্ৰাদ্ধ উপলক্ষে ছাত্রবৃন্দ যথাসাধ্য দ্রব্যাদি দিতে প্রতিশ্রুত হইল। জটিল দধির ভার লইলেন । ভোজনের সময় ইনি এক ভাণ্ড মাত্র দধি লইয়া গুরুগৃহে উপস্থিত হইলেন। গুরু বলিলেন যে এক ভাণ্ড দধিতে কি হইবে । ইনি উত্তর করিলেন যে সখী বলিয়াছেন যে এই ভাও, দধিই সকল লোকের ويسرا ] জনক হইয়াও উদ্ধৃত্ত থাকিবে। কাৰ্য্যতঃ তাহাই হইতে দেখা গেল। গুরুমহাশয় দেখিয়া শুনিয়া আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া জটিলকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে তাহার সখা কোথায় থাকেন। ইনি বলিলেন “আমাদের বাড়ী যাইবার পথে তেঁতুল গাছের নিকট অরণ্যে আমি তাহাকে দেখিয়া থাকি। আপনি তাহাকে দেখিবেন ত অস্থিন” । গুরু মহাশয় শিষ্যের অনুসরণ করিলেন। তেঁতুল তলায় গুরুকে অপেক্ষা করিতে বলিয়া জটিল “সর্থে গোবিন্দ, সখে গোবিন্দ” বলিয়া ডাকিতে ডাকিতে বনে প্রবেশ করিলেন । ক্ষণকাল পরে প্রত্যাবৰ্ত্তন পূর্বক গুরুকে বলিলেন যে সখী বলিয়াছেন যে তিনি আপনাকে দেখা দিবেন, কিন্তু আপনাকে এইস্থানে বসিয়া তেঁতুল গাছে যত পাতা আছে তত বর্ষ তপস্যা করিতে হইবে । হরির দর্শনাশায় গুরু তাহাই করিতে উপবিষ্ট হইলেন । (পুরাণ) জটিল—রাধিকার শ্বশ্র। ইহার সহিত গোল নামে গোপের বিবাহ হয় । ইহঁার গর্ভে আয়ান, দুৰ্ম্মদ, ও কুটিলার জন্ম হয়। (বৃন্দাবনলীলা) জনক—মিথিলাধিপতি ধাৰ্ম্মিক রাজা । রাজাদিগের মধ্যে জনক একজনু ঋষিতুল্য জ্ঞানী ছিলেন বালম্বী