পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-সংগ্ৰহ وي له যাহা কিছু চাঞ্চল্য ছিল, তাহা এই সময় হইতে একবারে তিরোহিত হয়। ১৪ ১৬ শকে নিমাইএর উপনয়ন হয়। ঐ সময়ে তিনি “গৌর-হরি” নাম প্রাপ্ত হন । । নিমাই গঙ্গাদাস পণ্ডিতের টোলে ব্যাকরণ পড়িতে আরম্ভ করেন। তাহার বুদ্ধি ও স্মরণশক্তি এত অধিক ছিল যে, তিনি একবার যাহা পড়িতেন, তাহা কণ্ঠস্থ করিতে পারিতেন। একবার ব্যাখ্যা শুনিলে আর ভুলিতেন না । দ্বাদশ বৎসর বয়ঃক্রম কালে নিমাই এর পিতৃ-বিয়োগ হয়। পিতৃবিয়োগে চৈতন্যদেব মহা কষ্টে পড়েন। তিনি কষ্টে পড়িয়া বিদ্যাভ্যাসে অধিকতর মনোনিবেশ করেন এবং অসাধারণ প্ৰতিভাবলে অচিরে ‘গঙ্গাদাসের টোলে প্ৰধান ছাত্র হইয়া উঠেন। ইহার পর তিনি বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌমের নিকট ন্যায়শাস্ত্ৰ অধ্যয়ন করেন। চৈতন্যদেব সুপুরুষ ছিলেন। তাহার গৌরবর্ণ কমনীয় কান্তি, মনোতাঁর মুখচ্ছবি এবং মোহিনী-শক্তি-পূর্ণ আয়তলোচনদ্বয় দেখিলে লোকের মন মোহিত হইত। যৌবন-সীমায় পদার্পণ করায় তাহার সৌন্দৰ্য আরও ফুটিয়া উঠিয়াছিল। শচী দেবী পুত্রের বিবাহ-কাল উপস্থিত দেখিয়া তাহার বিবাহের জন্য ব্যস্ত হন । কিন্তু বিবাহ-প্ৰস্তাবে পাছে নিমাই বিশ্বরূপের মত সন্ন্যাসাশ্রম গ্ৰহণ করে, ইতা তাহার বিশেষ ভয় ছিল। নিমাই মাতার অভিপ্ৰায় বুঝিতে পারিয়া বিবাহ করিতে মত প্ৰকাশ করেন। নিমাই পিতার মৃত্যুর প্রায় তিন বৎসর পরে নবদ্বীপ-নিবাসী বল্লভাচাৰ্য্যের কন্যা লক্ষ্মী দেবীর পাণিগ্রহণ করেন । এই বিবাহের কয়েক বৎসর পরে নিমাই মুকুন্দসঞ্জয়ের চণ্ডীমণ্ডপে চতুষ্পাঠী করিয়া অধ্যাপনায় প্ৰবৃত্ত হন। অল্প দিবসের মধ্যেই তাহার খ্যাতি প্ৰতিপত্তি চারিদিকে বিস্তীর্ণ হয়। এই সময়ে একজন দিগ্বিজয়ী