পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰৈলিঙ্গ স্বামী । እS ዓ এরূপ বৈরাগ্য জন্মে যে, ইনি আর গৃহে প্ৰত্যাগমন না করিয়া সেইস্থানে অবস্থিতি করেন। ইহার বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতা ও ইহার আত্মীয়-স্বজন কত অনুরোধ করেন, কিন্তু ইনি কিছুতেই আপনার সঙ্কল্প পরিত্যাগ করেন নাই। শিবরাম আপনার স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি আপন বৈমাত্রেয় ভ্রাতাকে প্ৰদান করিয়া বলেন, “ভাই ! আমি আর পাপ। সংসারে প্রবেশ করিব না। এতদিন মাতার অনুমতি পাই নাই বলিয়া পিঞ্জরাবদ্ধ পক্ষীর ন্যায় সংসারাশ্রমে অবস্থিতি করিতেছিলাম, এক্ষণে মাতার অনুমতি পাইয়াছি, সুতরাং এ অমূল্য সুযোগ আর পরিত্যাগ করিব না।” ইহার বৈমাত্রেয় ভ্রাতা যখন বুঝিলেন, জ্যেষ্ঠের প্রতিজ্ঞ আটল, সংসারে আর লিপ্ত থাকিবেন না, তখন তিনি ঐ সমাধি স্থানে একটা কুটার নিৰ্ম্মাণ ও আহারাদির বন্দোবস্ত করিয়া দেন। শিবরাম সংসারের সকল জ্বালা হইতে নিস্কৃতি লাভ করিয়া, সানন্দে তথায় যোগ অভ্যাস করিতে থাকেন । শিবরাম কয়েক বৎসর কাল তথায় অবস্থিতি করিয়া তীর্থ পৰ্যটনে বহির্গত হন। ঘটনাক্রমে একজন অতি প্রাচীন সাধু ইহার নয়নপথে পতিত হন। শিবরাম ঐ সাধুকে প্রকৃত যোগী জানিতে পারিয়া তাহার শিষ্য হন। শিবরাম বিনা চেষ্টায় সদগুরু প্ৰাপ্ত হইয়া অতি আহ্লাদসহকারে তঁহার নিকট যোগশিক্ষা করেন। গুরুও শিবরামকে উপযুক্ত শিষ্য বিবেচনা করিয়া অকপটচিত্তে ইহাকে যোগশিক্ষা দেন। শিবরাম ইহার নিকট দীক্ষিত হইয়া “ত্ৰৈলিঙ্গ স্বামী” উপাধি প্রাপ্ত হন। তদবধি ইনি জনসমাজে “ত্ৰৈলিঙ্গ স্বামী|” বলিয়া বিখ্যাত । ত্ৰৈলিঙ্গ স্বামীর গুরুদেব দেহত্যাগ করিলে ইনি সেতুবন্ধ রামেশ্বরে গমন করেন, তথায় ইহার কয়েকজন শিষ্যও হয়। ত্ৰৈলিঙ্গ স্বামী মনে করিয়াছিলেন যে, ঐ স্থানেই তিনি তঁহার জীবনের অবশিষ্ট সময় অতি জী-৭