পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্ৰৈলিঙ্গ স্বামী । Sov) মহাযোগিপুরুষ, ইহার চিত্ত নিৰ্ব্বিকার, সুতরাং বস্ত্র পরিধান করিবার আবশ্যক করে না।” বিচারপতি উকীলের বক্তৃতা শুনিয়া স্বামীজী কিরূপ নিৰ্ব্বিকার চিত্ত সাধু, তাহা পরীক্ষার জন্য আপনার মধ্যাহ্ন জলযোগের ভোজনাবশিষ্ট আহারীয় সামগ্রী ইহাকে আহার করিতে দেন। স্বামীজী সাহেবের মনোভাব বুঝিতে পারিয়া বলেন, “যদ্যপি আপনি আমার থানার কিয়দংশমাত্ৰ আস্বাদন করেন, তাহা হইলে আমি আপনার প্রদত্ত খানা খাইতে কিছুমাত্র আপত্তি করিব না।” এই কথা বলিয়া তিনি তৎক্ষণাৎ আপনার হস্তে মলত্যাগ করিয়া সৰ্ব্বসমক্ষে অমানবদনে তাহা ভক্ষণ করিয়া ফেলেন। স্বামীজীর এই অমানুষিক কাৰ্য্য দেখিয়া বিচারপতি ইহাকে উলঙ্গাবস্থায় সৰ্ব্বত্র বিচরণ করিতে অনুমতি দেন। কোন সময়ে একজন প্রধান রাজপুরুষ কাশীর রাজবাটী রামনগর হইতে নৌকাযোগে ৬/কাশীধামে আসিতেছিলেন। তিনি কিছুদূর আসিয়া স্বামীজীকে গঙ্গার জলে ভাসিতে দেখিতে পান। কাশীর মাঝী মোল্লারা সকলেই স্বামীজীকে জানিত। রাজপুরুষ স্বামীজীকে জলের উপর পদ্মাসনে বসিয়া থাকিতে দেখিয়া আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া জিজ্ঞাসা করেন, “ইনি কে ?” মাৰ্কীরা বলে, “উহার নাম ত্ৰৈলিঙ্গ স্বামী, উনি বড় সাধু।” রাজপুরুষের সহচর ব্যক্তি পূৰ্ব্বে স্বামীজীর নাম শুনিয়াছিলেন মাত্র, চােখে কখনও দেখেন নাই। তিনি স্বামীজীর নাম শুনিয়া উহার বিশেষ সুখ্যাতি করেন। সহচর ব্যক্তির মুখে স্বামীজীর সুখ্যাতি শ্রবণ করিয়া তিনি নৌকাখানি তাহার নিকটে লইয়া যান। নৌকা নিকটস্থ হইলে তিনি বিশেষরূপ অনুনয়-বিনয় করিয়া তাহাকে নৌকায় উঠতে বলেন, স্বামীজীও বিনা আপত্তিতে নৌকায় উঠেন। রাজপুরুষ স্বামীজীকে পাইয়া অত্যন্ত আহলদিত হন এবং তাঁহাকে নানাবিধ প্রশ্ন করিতে থাকেন। কিছুম্বামীজীর সেদিকে ভ্ৰক্ষেপ নাই, তিনি কালা ও বােবার স্থায় চুপ করিয়া বসিয়া