পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S\)8 জীবনী-সংগ্ৰহ। অপরাতু তিন ঘটিকার সময় দুর্গামন্দিরের নিকটস্থ একটি উদ্যানে বিচারসভার অধিবেশন হয়। বিচারে কিন্তু দয়ানন্দই পরাজিত হন। ১৮৭২ খৃষ্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর ইনি কলিকাতায় আগমন করেন। ইনি কলিকাতার নানাস্থানে বক্তৃতা করিয়া ফরাক্কাবাদে গমন করেন। ইহার পর ইনি ভারতবর্ষের নানাস্থান ভ্ৰমণ করিয়া ১৮৮৩ খৃষ্টাব্দের ৩০শে অক্টোবর আজমীর নগরে দেহত্যাগ করেন। বহুস্থান পৰ্যটন ও বহু সাধুসন্ন্যাসীর সংস্রব-নিবন্ধন ইনি যোগসমাধির অনেক নূতন নূতন বিষয় জানিতে পারিয়াছিলেন এবং ঐ সকল বিষয়, কাৰ্য্যে । পরিণত করিবার জন্য অধিকাংশ সময়ই যাপন করিতেন। ইনি যোগসম্বন্ধীয় কোন গ্রন্থে নাড়িচক্রের বিষয় পাঠ করিয়াছিলেন। এক দিবস । ইনি মোরাদাবাদ অঞ্চলে গঙ্গার তীরে পরিভ্রমণ করিতেছিলেন, এমন সময়ে একটা মনুষ্যের শবদেহ গঙ্গাবক্ষে ভাসিয়া যাইতেছে, দেখিতে পান। শবদেহ দেখিয়া মনুষ্যের দেহ মধ্যে প্রকৃতপক্ষে নাড়িচক্ৰ আছে কি না, তাহা জানিবার জন্য ইহার মন সাতিশয় আগ্ৰহান্বিত হইয়া উঠে। আপনার সংশয় দূর করিবার জন্য ইনি নদী গর্ভে ঝম্পপ্রদান করিয়া ঐ শবদেহকে তীরে লইয়া আইসেন এবং ছুরিকা দ্বারা ঐ দেহ খণ্ড-বিখণ্ড করিয়া গ্রন্থের লিখিতানুরূপ মিলাইতে থাকেন ; কিন্তু গ্রন্থোল্লিখিত নাড়িচক্রের কিছুমাত্র নিদর্শন না পাইয়া, সেই পুস্তকখানিকে খণ্ড-বিখণ্ড করিয়া নদী-গর্ভে নিক্ষেপ করেন। হঁহার “আৰ্য্যোন্দেশ্য রত্নমালা” নামক একখানি সংস্কৃত গ্ৰন্থ আছে। পাঠক-পাঠিকার অবগতির জন্য তাহার কিয়দংশের বঙ্গানুবাদ এই স্থানে প্ৰকাশ করিলাম।