পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8r জীবনী-সংগ্ৰহ । মনের জালা নিবারণ করিতেন ও তাহার সেবা করিয়া দিনযাপন করিতেন। এইরূপে কিছুদিন অতীত হইলে, তাহার মনে ধৰ্ম্ম-সংক্রান্ত ও ভক্তিরসাত্মক পুস্তকসকল পাঠ করিবার-ইচ্ছা- জন্মে।— তিনি যেরূপ লেখাপড়া শিখিয়াছিলেন, তাহাতে ধৰ্ম্মপুস্তক ও বিবিধ শাস্ত্ৰ পাঠ করিয়া তাহার মৰ্ম্ম অবগত। হওয়া অতি দুরূহ ; সুতরাং বিদ্যাশিক্ষার জন্য পুনরায় প্রবৃত্ত হন। ভক্তিরসাত্মক পুস্তকসকল পাঠ করিয়া তাহার ভক্তি দিন দিন যেরূপ। বৃদ্ধিত হই। * লাগিল, ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রতি তাহার অনুরাগও সেই পরিমাণে হ্রষ্টম পাইতে লাগিল। কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রভুকে অমনােযোগী দেখিয়া কৰ্ম্মচারিগর্শনির্বিঘ্নে ব্যবসায়ের লভ্যাংশ, অবশেষে মূলধন পৰ্য্যন্ত আত্মসাৎ করিতে আরম্ভ করিল। অন্যান্য ব্যবসায়িগণ তুকারামের ব্যবসায় নষ্ট হইতেছে বুঝিতে পারিয়া, তাহার সহিত আদান প্রদান বন্ধ করিয়া দিল। এই ঘটনায় তুকারাম ক্ৰমে ঋণজালে জড়িত হইতে লাগিলেন। তঁহার সংসারে অত্যন্ত অন্নকষ্ট উপস্থিত হইল। এই দুঃসময়ে রুক্মীবাঈ ও মানবলীলা সম্বরণ করিলেন। রুক্মীবাঈ এর দেহান্ত হইলে, তুকারাম তাহার গাত্ৰালঙ্কারগুলি বিক্রয় করিয়া কিছু অর্থ ংগ্ৰহ করিলেন। তিনি ঐ অর্থে কিছু চাউল, ডাউল ও বেণেতি মসলা ক্রয় করিয়া, নিজ গ্রাম হইতে কিছু দূরে, বাজারের সন্নিকটে অল্পপরিসর স্থান লইয়া একখান দোকান খুলিলেন। ক্রেতার অল্প মূল্যে আপন বিঠোবাদেবকে দর্শন করিয়া আসিতেন ; পণ্যদ্রপুর দেহগ্রাম হইতে প্ৰায় পঞ্চাশ ক্রোশ দূরে ভীমানদীর তীরে অবস্থিত। তিনি একজন পরম ভক্ত ছিলেন। এক দিবস তিনি স্বপ্ন দেখেন যে, বিঠোবা ও রুক্মিণীর মূৰ্ত্তি র্তাহার বাসস্থানের অনতিদূরে প্রোথিত আছে। তিনি স্বপ্ন-দৃষ্ট ঐ মূৰ্ত্তিদ্বয়কে উঠাইয়া, ইন্দ্রায়নী নদীর তীরে একটী মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাইয়া लांहांठ हांडि कब्रिन ।