পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু তুকারাম। Y (Y গালি দিতে লাগিলেন। জীজাবাঈ এর চীৎকারে প্রতিবেশিনীগণ আসিয়া উপস্থিত হইলে, তিনি তুকারামকে দেখাইয়া বলিতে লাগিলেন, “আমার বোধ হয়, এই মুর্থ পূৰ্ব্বজন্মে আমার শত্রু ছিল, এই জন্মে আমাকে যন্ত্রণা দিবার জন্য আমার স্বামী হইয়া আসিয়াছে। সংসারনিৰ্বাহ জন্য আমি এখন কি উপায় অবলম্বন করি ? সন্তানগণ ক্ষুধার জালায় অস্থির হইয়া কাতরক্ৰন্দনে যখন আমার নিকট খাবার চাহিবে, তখন আমি উহাদিগকে কি দিয়া সান্থনা করিব? আমার এখন মৃত্যুই শ্ৰেয়ঃ,আমি আর কত জ্বালা সহ্য করিব? বিঠল! তোমাকেও ধিকৃ।” প্রতিবেশিনীদিগের মধ্যে একজন জীজাবাঈকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “ভাই! তোমার স্বামী মুর্থ বলিয়া কি তুমিও জ্ঞানহীনা হইবে ? পতিভক্তি না করিয়া পতির প্রতি কটুক্তিপ্রয়োগ করিবে ?” জীজাবাঈ প্রতিবেশিনীর কথায় প্ৰতিবাদ করিয়া বলিলেন, “দিদি ! যে যাহাকে লইয়া ঘর করে, সেই তাহার মৰ্ম্ম অবগত থাকে।” তুকারামের এইরূপ অবস্থা দেখিয়া তঁহার ভ্রাত কানাইয়া বিষয়াদি ভাগ করিয়া লন ; ঐ সময়ে ইনি কিছু টাকার থাৎ পাইয়াছিলেন। তুকারাম জোরজবরদস্তি করিয়া অধমৰ্ণদিগের নিকট হইতে অনেক টাকা আদায় করিতে পারিতেন, কিন্তু লোকের সহিত বিবাদ করা ভাল নয়, এই ভাবিয়া তিনি ঐ সকল খৎ জলে ফেলিয়া দেন। জীজাবাঈ যখন জানিতে পারিলেন যে, তঁহার স্বানী বিবাদের ভয়ে খৎসকল জলে ফেলিয়া দিয়াছেন, তখন তিনি অতিশয় ক্ৰোধিত হইয়া স্বামীকে যথোচিত তিরস্কার করিলেন। তুকারাম স্ত্রীর তীব্র ভৎসনা খাইয়া, কোমলমতি বালকের ন্যায় একটু হাসিয়া তাহা উড়াইয়া দেন। পরে স্ত্রীকে কোন কথা না বলিয়া বাটী হইতে আলন্দি নামক স্থানে গমন করেন। আলন্দি দেহু হইতে প্ৰায় এক ক্রোশ দূরে ইন্দ্ৰায়নী নদীর তীরে অবস্থিত। জ্ঞানদেব নামক একজন সাধু ৬০০ শত বৎসর পূৰ্ব্বে, এই স্থানে থাকিতেন। তুহার