পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধু তুলসীদাস। ÞGI “গোসাইজীর এই একটী নিয়ম ছিল যে, তিনি কদাপি কাশীক্ষেত্রের সীমানার মধ্যে মলমূত্র পরিত্যাগ করিতেন না। তাঁহার শৌচাদি ক্রিয়ার নিমিত্ত র্তাহাকে প্রতিদিন অসী পার হইয়া দক্ষিণাভিমুখে অনেক দূর যাইতে হইত এবং প্রত্যাবৰ্ত্তন কালে ভৃঙ্গার মধ্যে যে অবশিষ্ট জলটুকু থাকিত, অপবিত্র জ্ঞানে উহা কাশীতে আনয়ন না করিয়া নদী-পারেই এক আত্মবৃক্ষের মূলে নিক্ষেপ করিতেন। কথিত আছে, স্বকীয় কৰ্ম্মফলানুবৰ্ত্তী এক পিশাচ ঐ বৃক্ষোপরি বাস করিত। সে একদিন গোসাইকে একাকী পাইয়া অতীব বিনীতভাবে তাহাকে কহিল, “হে ব্ৰহ্মণ ! আপনি আমাকে অনেক জলপান করাইয়াছেন, ইহাতে আমি আপনার উপর সাতিশয় প্ৰসন্ন হইয়াছি। আপনি আমার নিকট অভীপিসত বর-প্রার্থনা করুন।” ভয়হীন তুলসী জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি কে এবং কিসের জন্যই বা এখানে অবস্থান করিতেছেন ? প্ৰেত উত্তর করিলেন, “আমি পূৰ্ব্বজন্মে বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের নিকটস্থ কোন এক গ্রামবাসী ব্ৰাহ্মণ ছিলাম। তথাকার রাজা আমার যজমান ছিলেন । এইজন্য তাদেশে আমার অতিশয় প্ৰতিপত্তি ছিল। রাজা পুণ্য-সঞ্চায়ের জন্য যাহা কিছু দান করিতেন, সাতিশয় লোভ বশতঃ আমি তাহার সমস্তই স্বীয় গৃহে লইয়া যাইতাম, অন্যান্য ব্ৰাহ্মণ বা দীনদুঃখীকে তাহার কিছুই দিতাম না। ইহাতে সাধু সজন প্ৰভৃতির সহিত আমার সর্বদাই বিরোধ হইত এবং আমি মিথ্যা করিয়া রাজসমীপে সেই সকল মহাপুরুষের নিন্দা করিতাম। আমার আত্মীয় স্বজন, পাত্ৰই হউক আর অপাত্ৰই হউক, আমার চক্রান্তের প্রভাবে রাজদ্বারে বিপুল দানাদি প্রাপ্ত হইত। আমার জীবন কপটতাপূর্ণ ছিল। আমি কায়মনোবাক্যে কখনও কাহারও উপকার করিতাম না । দৈবাধীন পিপাসাৰ্ত্ত এক দুঃখী ব্ৰাহ্মণ এক দিন আমার নিকট কিঞ্চিৎ পানীয় জল প্রার্থনা করিয়াছিলেন। আমি উহাকে তাহা দিয়াছিলাম। মনুষ্য জন্ম