পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব । SV) বিষয় অবগত করেন। রাজা উদ্যান-মধ্যে আসিয়া কুমারকে তাদৃশ অবস্থাপন্ন দেখিয়া অতিশয় আশ্চৰ্য্যান্বিত হন । বহুলোকের সমাগমে এবং কোলাহলে কুমারের ধ্যানভঙ্গ হইলে, তিনি পিতাকে নিকটস্থ দেখিয়া কিছু লজ্জিত হন ও র্তাহার সহিত বাটী প্ৰত্যাগমন করেন। বিবাহ । যৌবনাবস্থার প্রারম্ভে পুত্রের ঈদৃশ অবস্থা সংসার-বৈরাগ্যের হেতুভূত মনে করিয়া, শুদ্ধোদন অচিরে তঁহাকে পরিণয়পাশে বদ্ধ করিতে কৃতসঙ্কল্প হন। বিবাহ বিষয়ে কুমারের মতামত জানিবার জন্য শুদ্ধোদিন প্ৰধান মন্ত্রীকে তাহার নিকট প্রেরণ করেন। স্থিরচিত্ত সিদ্ধার্থ সপ্তম দিবসে উত্তর দিবেন। বলিয়া মন্ত্রীকে বিদায় দেন । “বিৰাহ করা উচিত কি না,” এই বিষয় লইয়া তিনি ছয় দিবসকাল আন্দোলন করেন। পরে এইরূপ স্থির করেন যে, অরণ্যবাসী হইয়া ধৰ্ম্মপালন করা অতি সহজ, কিন্তু সংসারাশ্রমে থাকিয়া শত শত পাপময় প্রলোভনের হস্ত হইতে আপনাকে রক্ষা করিয়া ধৰ্ম্মকৰ্ম্মপরায়ণ হওয়া অত্যন্ত কঠিন । কঠিন হইলেও গৃহী হইয়া আমাকে ধৰ্ম্মপালন করিতে হইবে, সুতরাং আমার বিবাহ করা উচিত। সিদ্ধার্থ সপ্তম দিবসে বিবাহে সম্মতি জানাইয়া মন্ত্রীকে বলেন, “ব্ৰাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয় বৈশ্য বা শূদ্র ষে কোন জাতীয় কন্যা হউক না কেন, যিনি বিবিধ গুণে বিভূষিতা, তঁহাকেই আমি বিবাহ করিব। যে কন্যা গুণে, সত্যে এবং ধৰ্ম্মে শ্রেষ্ঠা, সেই কন্যা আমার মনোনীতা ; যে কন্যা ঈৰ্য্যাদি গুণযুক্ত নহে, সদা সত্যবাদিনী, রূপ-যৌবনে