পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSR জীবনী-সংগ্ৰহ। হরিদাস কঠোর পরিশ্রমে যোগাভ্যাস করিয়া সিদ্ধ হন। তিনি অনাহারে ও অনিদ্রায় ছয়মাস কাল মৃত্তিকা-মধ্যে প্রোথিত থাকিলেও জীবিত থাকিতেন। ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসের প্রথম তারিখে ইনি পঞ্জাবের অন্তৰ্গত জেসলেমির নামক স্থানে মৃত্তিকা-মধ্যে সমাধিস্থ হন। ঐ সময়ে লেফটেনাণ্ট বৈলে তথায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “হরিদাস যে গর্তের মধ্যে আসন-বন্ধন করিয়া বসিয়াছিলেন, তাহার পরিমাণ দুই হাত দীর্ঘ, দেড় হাত প্ৰস্থ ও দুই হাত গভীর। পাছে কোন কীটাদিতে র্তাহার শরীর দংশন করে, সেইজন্য উহার চতুর্দিকে রোসমী বস্ত্রের দ্বারা মোড়া ছিল। হরিদাস আসন-বন্ধন করিয়া সমাধিতে বসিলে, শিষ্যেরা তঁহাকে কয়েকখণ্ড গেরুয়া বস্ত্রের দ্বারা আবৃত করিয়া চতুর্দিকে সেলাই করিয়া দেয়, পরে গহবর-মধ্যে বসাইয়া দিয়া দুইখণ্ড বৃহদাকার প্রস্তর সমাধিগর্তের উপর অতি দৃঢ়ভাবে আঁটিয়া দেয়। পাছে ইহার মধ্যে শিষ্যদের কোনরূপ প্ৰবঞ্চনা থাকে, ইহা মনে করিয়া জেসলামিরের রাজা মহারাওলের মন্ত্রী ঈশ্বরীলাল ঐ প্রস্তরের উপর মৃত্তিকার লেপ দেওয়ান ও গৃহের দ্বার প্রস্তর দিয়া গাথাইয়া দেন, এরূপ করিয়াও তিনি নিঃসন্দেহ হন নাই। পাছে শিষ্যেরা অন্য কোন উপায়ে গৃহমধ্যে প্রবেশ করে, সেইজন্য তিনি ঐ গৃহের চতুর্দিকে অস্ত্ৰধারী প্রহরী নিযুক্ত করিয়া দেন।” এইরূপে হরিদাস মৃত্তিকামধ্যে একমাসকাল প্রোথিত থাকেন। ১লা এপ্ৰেল হরিদাসকে উঠাইবার দিন নির্দিষ্ট ছিল, সুতরাং দী দিবস বহু দেশদেশান্তর হইতে লোকজন আসিয়া সমাধিস্থানে উপস্থিত হইতে লাগিল। ঈশ্বরীলাল সমাধি-মন্দিরের চতুর্দিক পরীক্ষা করিয়া গ্রথিত প্রস্তর ভাঙ্গিতে হুকুম দেন। প্রস্তর ভাঙ্গিয়া দরজা খােলা হইলে ঈশ্বরীলাল পুনরায় গহবরের উপরিস্থ প্ৰস্তৱ পরীক্ষা করিয়া