পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীরামকৃষ্ণ পরমহংস। ૨૭ ংসারযাত্রা নিৰ্বাহ করিতেন। ইহার তিন পুত্র ও দুই কন্যা । জ্যেষ্ঠ রামকুমার, মধ্যম রামেশ্বর এবং কনিষ্ঠ রামকৃষ্ণ। রামকুমার সাংসারিক কষ্ট লাঘব করিবার জন্য কলিকাতায় আসিয়া ঝামাপুকুর নামক স্থানে একটী চতুষ্পাঠী স্থাপন করেন এবং বিদায়-আদায় প্রাপ্তির জন্য ছাতু বাবুর দলে নাম লিখাইয়া রাখেন। গ্ৰাম্য বিদ্যালয়ে থাকিয়া, রামকৃষ্ণের লেখাপড়ার সুবিধা হইল না। দেখিয়া, রামকুমার শাস্ত্রাভ্যাসের জন্য ইহাকে আপনি চতুষ্পাঠীতে আনয়ন করেন। ঐ সময়ে ইহার বয়স চৌদ্দ বৎসর হইয়াছিল। এখানে আসিয়াও লেখাপড়ার প্রতি ইহার অনুরাগ জন্মে নাই, অতি সামান্য রকম যাহা শিখিয়াছিলেন, তাহা নিজের চেষ্টায় নহে, দাদা মহাশয়ের ভয়ে। যদিও ইহার বিদ্যাভ্যাসে তাদৃশ আস্থা ছিল না ; কিন্তু মেধাশক্তি ও প্ৰত্যুৎপন্নমতিত্ব ইহার যথেষ্ট ছিল। কথকদিগের মুখে কথকতা শুনিয়া রামায়ণ, মহাভারত ও অন্যান্য শাস্ত্ৰাদিতে সুপণ্ডিত হইয়াছিলেন। ইহার উপদেশগুলিই তাহার জাজ্বল্য প্ৰমাণ। পরমহংসদেবের বয়স যখন ১৮ বৎসর, সেই সময়ে রামকুমার কলিকাতার প্রায় তিনক্রোশ উত্তরে দক্ষিণেশ্বর নামক স্থানের কালীবাড়ীতে পূজক-ব্রাহ্মণরূপে নিযুক্ত হন। মাড়বার-বংশীয় রাণী রাসমণি ১২৫৯ সালে ঐ স্থানে ভাগীরথী-তীরোপরি এক মনোহর উদ্যান-মধ্যে মহাশক্তি কালীপ্রতিমা স্থাপন করেন ও বহু ব্যয়ে মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন। রামকুমার রাসমণি-প্রতিষ্ঠিত কালিকাদেবীর পূজায় ব্ৰতী হইলে, ঝামাপুকুরস্থ টোল উঠাইয়া দিয়া কনিষ্ঠ সহোদর রামকৃষ্ণকে লইয়া তথায় বাস করিতে থাকেন। ঐ সময়ে হুগলী জেলার অন্তৰ্গত। জয়রামবাটী-নিবাসী শ্ৰীযুক্ত রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠ কন্যা। শ্ৰীমতি সারদাসুন্দরী দেবীর সহিত রামকৃষ্ণের পরিণয় কাৰ্য্য সম্পন্ন হস্য।