পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীরামকৃষ্ণ পরমহংস। SON অবগত আছেন। তিনি সংসারে পাপ বলিয়া একটা কিছু আছে, তাহা বিশ্বাস করিতেন না এখন সেই গিরিশ বাবুকে দেখিলে আশ্চৰ্য্য হইতে হয়। এরূপ কত পাপী যে তাহার উপদেশে উদ্ধার হইয়া গিয়াছে, ऊछ् व् शन् । । ১২৯৩ সালের ৩১শে শ্রাবণ রবিবার ৫২ বৎসর বয়সে ভক্তকুলচূড়ামণি রামকৃষ্ণ পরমহংসের আত্মা নশ্বরদেহ পরিত্যাগ করিয়া কৈবল্যধামে গমন করে। মৃত্যুর কয়েক মাস পূর্বে ইহার গলনালির মধ্যে একটা স্ফোটক উদগত হয়। ঐ স্ফোটক ক্ৰমে বৰ্দ্ধিত হইতে থাকায় বিষম যন্ত্রণা অনুভব করেন ; কিন্তু সে যন্ত্রণার বিন্দুমাত্রও নিজমুখে ব্যক্তি করিতেন না । তরল বস্তু ব্যতীত অন্য কোন দ্রব্যই তিনি আহার করিতে পারিতেন না ; ক্রমে এরূপ হইয়া উঠিল যে, তরল বস্তুও গলাধঃকরণ করা দুষ্কর হইতে লাগিল । আহার করিতে না পারায় শরীরও ক্রমে জীর্ণশীর্ণ হইয়া আসিতে লাগিল। শিষ্যমণ্ডলী গুরুর এইরূপ সঙ্কটাপন্ন অবস্থা দেখিয়া চিকিৎসার জন্য ইহাকে বাগবাজারে আনয়ন করেন, পরে সেখান হইতে বলরাম বাবুর বাটী ও তথা হইতে কাশীপুরের একটী সুরম্য উদ্যান-বাটীতে স্থানান্তরিত করেন । এই স্থানেই ইহার জীবনান্ত शं । বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় যুবক পরমহংসের নিকট জ্ঞান ও শান্তিলাভের জন্য প্রায়ই যাতায়াত করিতেন। পরমহংসদেবও উহাদিগকে যথেষ্ট ভাল বাসিতেন। যুবকবৃন্দ শ্ৰীরামকৃষ্ণের জ্ঞানগর্ভ উপদেশপূর্ণ বাক্যাবলী শ্রবণ করিয়া সংসার-সুখে জলাঞ্জলি দিয়া সন্ন্যাসাশ্রমে প্ৰবিষ্ট হন । তাহার দেহত্যাগের পর, প্ৰায় ১০/১২ বৎসর ব্যাপিয়া সেই সাধুগণ সাধন, ভজন ও দেশপৰ্য্যটনে ব্যাপৃত থাকেন। তাহারা পরমহংসদেবের প্ৰিয়শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ দ্বারা রীতিমত সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া জনসমাজে ধৰ্ম্মপ্রচার