পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরমহংসদেবের কয়েকটী উপদেশ । এক ডুবে রত্ন না পাইলে রত্নাকরকে রক্তৃহীন মনে করিও না। ধৈৰ্য্যধারণপূর্বক সাধনায় প্রবৃত্ত থােক, যথাসময়ে ঈশ্বরের কৃপা তোমার উপরে অবতীর্ণ হইবেই হইবে। এক ব্যক্তি পুষ্করিণী খনন করিতে গিয়া দুই হাত মাটি কাটিয়াছে, এমন সময়ে অপর এক ব্যক্তি আসিয়া বলিল, ভাই তুমি বৃথা পরিশ্রম করিতেছ। কেন ? ইহার নিম্নে জল পাইবে না-কেবলই বালি বাহির হইবে। সে তৎক্ষণাৎ সে স্থান ত্যাগ করিয়া অপর এক স্থানে মাটি কাটিতে লাগিল। তথায় আর এক ব্যক্তি আসিয়া বলিল, ভাই এখানে পূর্বে পুকুর ছিল, বৃথা কষ্ট করিতেছ। কেন ? কিঞ্চিৎ দক্ষিণদিকে অগ্রসর হইয়া কাটিলে সুন্দর জল বাহির হওয়ার সম্ভব, সে তৎক্ষণাৎ তাহাই করিল। তথায় অপর একজন আসিয়া আবার তাহাকে নিষেধ করিল। এইরূপে সে যত স্থান মনোনীত করিয়াছিল, একে একে সে সকল স্থানই ত্যাগ করিতে বাধ্য হইল। তাহার পুকুর কাটা আর হইল না। ধৰ্ম্মপথেও অনেকে এইরূপে নানা বিয়ে পড়িয়া সৰ্ব্বস্ব হারায়ুছেন। আজ যাহা বিশ্বাস করিলেন ; বিপদে, পরীক্ষায় পড়িয়া কল্য তাহা “ ।গ করিলেন এবং অবশেষে হয় একেবারে নাস্তিক হইয়া পড়িলেন, নতুবা স্থিরসিদ্ধান্ত করিলেন, এ জীবনে ধৰ্ম্মলাভ অসম্ভব। এক ব্যক্তি সমস্ত দিবস ইক্ষুক্ষেত্রে জল সেচন করিয়া অবশেষে দেখিল যে, একবিন্দু জলও ক্ষেত্রে প্রবেশ করে নাই, দূরে কতকগুলি গৰ্ত্ত ছিল, তাহা দ্বারা সমুদয় জল বাহির হইয়া গিয়াছে। সেইরূপ যিনি বিষয় আকাঙ্ক্ষা, পার্থিব মান-সন্ত্রম, সুখ-স্বচ্ছন্দতার প্রতি আসক্তি রাখিয়া উপাসনা করিতেছেন, আজীবন উপাসনা করিয়া অবশেষে والاســة