পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 জীবনী-সংগ্ৰহ। গমন করিতেন। গোসাইজীও ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের আস্বাদন গ্ৰহণ করিবার জন্য নিয়মিতরূপে তথায় গমন করিতেন । ক্ৰমে মেডিকেল কলেজের পাঠ সাঙ্গ করিয়া ঢাকায় গিয়া চিকিৎসা-ব্যবসায় আরম্ভ করেন। বিনা ভিজিটে দীনদুঃখী দিগকে চিকিৎসা করাই ইহার মুখ্য উদ্দেশ্য। যে সময়ে ইনি ঢাকায় ছিলেন, সেই সময়ে মহাত্মা কেশবচন্দ্ৰ সেন বিলাত হইতে প্রত্যাগত হইয়া ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের স্বতন্ত্র আকার দিয়া ব্ৰাহ্মসমাজ গঠিত করিতে আরম্ভ করিয়াছেন। ব্ৰাহ্মমাত্রেরই যাহাতে পরস্পর পরস্পরের সহিত সৌহার্দ্য জন্মে, তাহার জন্য তিনি ভারতআশ্রম স্থাপিত করেন। এই আশ্রমে ভিন্ন ভিন্ন ব্ৰাহ্ম-পরিবারের একান্নবৰ্ত্তী হিন্দু-পরিবারের ন্যায় বাস করিতেন। যে স্থানে এখন সিটি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে, ঐ স্থানের পূৰ্ব্বের অট্টালিকায় তখন ভারত-আশ্রম ছিল। কেশবচন্দ্র নূতন আকারে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের সৃষ্টি করিতেছেন শুনিয়া, গোসাইজী ঢাকা ছাড়িয়া সপরিবারে ভারত-আশ্রমে আসিয়া বাস করিতে লাগিলেন । এদিকে কেশব-প্ৰচারিত নবধৰ্ম্মের আবির্ভাবে আদি ব্ৰাহ্মসমাজে হুলস্থূল উপস্থিত হইল। কেশবের তীব্র আকর্ষণে আকৃষ্ট হইয়া অনেকেই আদি ব্ৰাহ্মসমাজ পরিত্যাগ করিয়া, কেশবের দলে আসিয়া মিলিতে লাগিল—অনেকে নূতন ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইবার জন্য লালায়িত হইয়া পড়িল। কেশবের বাটী সর্বদা লোকে লোকারণ্য। কেশব বাবু জনকোলাহল আর সহ্যু করিতে না পারিয়া নির্জনে থাকিবার জন্য বেলঘরিয়ার নিকটস্থ একটী উদ্যান-মধ্যে বাস করিতে লাগিলেন ; কিন্তু তাহাতেও তিনি নিস্কৃতি পাইলেন না। অচিরে নির্জন স্থান ব্ৰাহ্ম নরনারীতে পূর্ণ হইতে লাগিল। ঐ সময়ে ব্ৰাহ্ম নরনারীরা তাহাকে ঈশ্বরের অবতার বলিয়া মানিত। এই হিড়িকে পড়িয়া গোসাইজীর শ্বাশুড়ী