পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 (ፈb” জীবনী-সংগ্ৰহ। আর কিছুই নাই শ্যাম তোর, কেবল দুটী চরণ রাঙ্গা। শুনি তাও নিয়েছেন ত্রিপুরারি, অন্তেব্য হ’লেম সাহস ভাঙ্গ ৷ জ্ঞাতি বন্ধু সুত দারা, সুখের সময় সবাই তারা, কিন্তু বিপদকালে কেউ কোথা নাই, ঘর বাড়ী ওড়গায়ের ডাঙ্গা। নিজগুণে যদি রাখি, করুণা নয়নে দেখ, নইলে জপ করে যে তোমায় পাওয়া, সে সব কথা ভূতের সাঙ্গা। কমলাকান্তের কথা, কারে বলি মনের ব্যথা, আমার জপের মালা, বুলি কঁথা, জপের ঘরে রইল ঠাঙ্গ ৷ র্তাহার করুণরসাশ্ৰিত পদ শ্রবণ করিয়া মূঢ় দস্যগণ বিমোহিত হইয়া তৎক্ষণাৎ তঁহাকে পরিত্যাগ করে। কমলাকান্ত এই মরণ-ধৰ্ম্মশীল মর্ত্যভূমিতে যে কতদিন অবস্থিতি করিয়াছিলেন তাহা জানিতে পারা যায় নাই। এক দিবস মহারাজ তেজচন্দ্ৰ বাহাদুর কমলাকান্তের শঙ্কটাপন্ন পীড়ার কথা শ্রবণ করিয়া অতি ব্যাকুলান্তঃকরণে র্তাহাকে দেখিতে যান এবং তঁহার মৃত্যু আসন্ন জানিয়া গঙ্গাতীরস্থ হইবার জন্য তঁহাকে বিশেষ অনুনয় বিনয় করেন। কমলাকান্ত রাজার ঈদৃশ বাকুলত দেখিয়া তঁহাকে পরদিন বেলা দ্বিপ্রহরের সময় আসিতে বলেন। মহারাজা যথাসময়ে আসিয়া উপস্থিত হইলে কমলাকান্ত র্তাহাকে পরমার্থ বিষয়ক কতকগুলি উপদেশ প্ৰদান করিয়া বলেন, “এইবার আমার জীবনান্ত হইবার সময় উপস্থিত হইয়াছে, আমায় মৃত্তিকার উপর শয়ন করাইয়া দিন৷” এরূপ শুনিতে পাওয়া যায় যে, কমলাকান্তের দেহত্যাগের সময় মৃত্তিকা ভেদ করিয়া ভোগবতীর স্রোত প্ৰবাহিত হইয়াছিল। এই ঘটনা দেখিয়া মহারাজা ও তৎস্থানীয় সমুদয় ব্যক্তিগণ আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়াছিলেন।