পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5 ዓኳ” জীবনী-সংগ্ৰহ। পতিত হয়। স্বামীজী যমুনা দেবীর তৃতীয় গৰ্ভজাত সন্তান। ইহার বয়ঃক্রম এক বৎসর হইলে, পিতা হােম, যাগ ও পূজাৰ্চনাদি করিয়া পুত্রের নাম বংশীধর রাখেন ; কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশতঃ ঐ শিশুর মৃগীরোগ জন্মে। যমুনা দেবী পুত্রকে মৃগীরোগাক্ৰান্ত দেখিয়া উহার জীবনের আশা পরিত্যাগ করিয়া সদাই বিষাদিত হইয়া থাকিতেন। এইরূপে কিছুদিন গত হইলে পর, কল্যাণীতে এক ক্ষত্ৰিয়া রমণী সহমৃতা হয়েনি। ঐ দেশে এরূপ প্ৰবাদ আছে যে, সতী স্ত্রীর অন্তিমআশীৰ্বাদ প্ৰায় ব্যর্থ হয় না। সেইজন্য সহস্ৰ সহস্ৰ নরনারী আপন আপন পুত্রকন্যাদিগকে কক্ষে লইয়া সতীসাধবী রমণীর আশীৰ্ব্বাদ পাইবার প্রত্যাশায় সেই স্থানে আসিয়া উপস্থিত হন। এ ক্ষেত্রেও তাহাই হইয়াছিল। যমুনা দেবী অন্যান্য পুরস্ত্রীগণের সহিত বংশীধরকে তথায় লইয়া গিয়াছিলেন। সতী বংশীধরকে দেখিয়া যমুনাকে বলিয়াছিলেন, “ভীগিনি! তুমি অতি ভাগ্যবতী ; তোমার পুত্র একজন যোগী পুরুষ হইবে অকালমৃত্যু ইহাকে স্পর্শ করিতে পরিবে না।” সতীর আশীৰ্বাদের পর বংশীধরের মৃগীরোগ কিছুদিনের জন্য অন্তহিত হইয়াছিল; কিন্তু পুনরায় উহা প্ৰকাশ পায়। বংশীধরের বয়স যখন চারি বৎসর, সেই সময়ে ঐ বালক তাহার মাতাকে বলিয়াছিলেন, “মা ! আমার বই কই?” বালক বারংবার ঐরাপ বলিতে থাকায়, যমুনা দেবী একখানি পুস্তক লইয়া বংশীকে দেন ; কিন্তু বালক “এ বই আমার নয়,” বলিয়া উহা ফেলিয়া দেন ও ক্ৰন্দন করিতে থাকেন। সবসুখরাম, বংশীকে অন্যান্য প্রলোভন দেখাইয়া সাস্তুনা করেন এবং সস্নেহে জিজ্ঞাসা করেন, “বংশি ! তুমি বই কি করবে ?” মাতুলের কথায় বংশী বলিয়াছিলেন, “বই পাইলেই আমার রোগ যাইবে। সে বই পর্ণকুটীরের মধ্যে আছে।” বালকের মুখে এই অদ্ভুত কথা শুনিয়া তিনি