পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

370 জীবনী-সংগ্ৰহ । বিষয় এই যে, ঐ পুস্তক প্ৰাপ্তির পর হইতেই বালকের আর কোনরূপ রোগ দেখা যায় নাই। স্বামীজী পাঁচবৎসর বয়সে বাটীর নিকটে ভট্টজী নামক গুরুগৃহে পাঠাভ্যাস করেন। ফাসী শিক্ষার জন্য ইহার অন্য একজন মৌলবী শিক্ষক ছিলেন। বিদ্যাভ্যাসকালীন স্বামীজী যাহা শুনিতেন, তাহ আর কখনও ভুলিতেন না। ইহার অসাধারণ স্মৃতিশক্তি দেখিয়া ভট্টজী স্বামীজীকে শ্রুতিধর বলিয়া ডাকিতেন। স্বামীজীর বয়স যখন সাত বৎসর, সেই সময়ে ইহার পিতৃবিয়োগ হয়। পিতৃবিয়োগের অল্প দিন পরেই মাতাও ইহলীলা সম্বরণ করেন। ১৩ বৎসর বয়সে ইনি ফাসী। ও মারহাটি ভাসা উত্তমরূপে শিক্ষা করিয়া শাস্ত্রালোচনায় প্ৰবৃত্ত হন। ১৬ বৎসর বয়সে ইনি অশ্বারোহন ও অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা করেন। ঐ সময়ে নবাব কোন ব্যবসায়ীর নিকট হইতে একটী বহুমূল্য ঘোড়া উপঢৌকন প্ৰাপ্ত হন। ঘোড়াটা অত্যন্ত তুর্দান্ত ছিল। অশ্বরক্ষক স্বয়ং উহাকে শাসন করিতে না পারায়, স্বামীজীর সাহায্য প্রার্থনা করেন। স্বামীজী অশ্বের প্ৰকৃতি সংযত করিয়া দিলেন বটে, কিন্তু অতিরিক্ত প্ৰহার ও অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য অশ্বটী পঞ্চােত্বপ্রাপ্ত হয়। নবাব অশ্বের মৃত্যুর কথা শুনিয়া অত্যন্ত দুঃখিত হন এবং স্বামীজীই উহার মৃত্যুর কারণ স্থির করিয়া উহাকে কারাগৃহে নিক্ষেপ করেন। কিছুদিন কারাগৃহে থাকিবার পর স্বামীজীর হৃদয়ে এক আশ্চৰ্য্য পরিবর্তন ঘটে। তিনি সংসারের অসারতা মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে অনুভব করায়, বৈরাগ্য আসিয়া তাহার হৃদয় অধিকার করে। কারামুক্ত হইয়া ইনি কিছুদিন মাতুলালয়ে নিয়মিত পানভোজন ও প্ৰফুল্লভাব ধারণ করিয়াছিলেন। এক দিন ইনি তাহার মাতুল মহাশয়ের নামে একখানি পত্র লিখিয়া তাহাতে সংসারের নশ্বরতা বুঝাইয়া দিয়া ও র্তাহার অনুসন্ধানে বিরত হইতে অনুরোধ করিয়া গৃহ পরিত্যাগ করেন। স্বামীজী