পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rao জীবনী-সংগ্ৰহ। মিশিয়াছিলেন, ব্ৰাহ্ম আচাৰ্য্যদিগের সহিত মিশিয়াছিলেন, এবং বৌদ্ধলামাদিগের সহিতও মিশিয়াছিলেন, কিন্তু কোন ধৰ্ম্মযাজকেরাই তাহাকে ধৰ্ম্মের জ্যোতিঃ দেখাইতে পারেন নাই, সেই নরেন্দ্ৰ হিন্দুধৰ্ম্মের জ্যোতিঃ দর্শন করিয়া, সংসারের সমুদয় সুখাভিলাষ বিসর্জন দিয়া, যৌবনের সুখসম্ভোগ-লালসা ত্যাগ করিয়া সন্ন্যাসী হন। ১২৯৩ বঙ্গাব্দে পরমহংসদেব দেহত্যাগ করিলে নরেন্দ্র গুরুর উপদেশানুসারে বিবেকানন্দ স্বামী নামগ্ৰহণ করেন। এক্ষণে তিনি সেই নামেই বিখ্যাত । পরমহংসদেবের দেহত্যাগের পর বিবেকানন্দ স্বামী হিমালয় প্রদেশস্থ মায়াবতীতে গিয়া যোগসাধনা করেন। প্ৰায় দুই বৎসরকাল তথায় যোগাভ্যাস করিয়া সাধুসঙ্গমেচ্ছায় তিব্বত ও হিমালয় প্রদেশের নানা স্থান ভ্ৰমণ করিতে বহির্গত হন। ১২৯৮ বঙ্গাব্দে রাজপুতানার আবু নামক পাহাড়ে তাহার অবস্থান কালে, স্বামীজীর কোন ভক্ত, খেতড়ির মহারাজের সচিব মুন্সী জগমোহন লালজী নামক এক ব্যক্তির সহিত তঁহাকে দর্শন করিতে আইসেন। জগমোহন স্বামীজীর বিদ্যাবুদ্ধি এবং পাণ্ডিত্যের পরিচয় পাইয়া আনার প্রভুকে সকল বিষয় অবগত করান। খেতড়ির মহারাজ, জগমোহনের নিকট স্বামীজীর কথা শ্রবণ করিয়া, তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে মনস্থ করেন। “খেতড়ির মহারাজ। আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিতে ইচ্ছা করেন,” লালজী স্বামীজীর নিকট এই কথার প্ৰস্তাব করিলে, স্বামীজী, মহারাজের সম্মান রক্ষার জন্য স্বয়ং যাইয় তাহার সহিত সাক্ষাৎ করেন। মহারাজও তাহাকে যথাবিহিত অভিবাদন করেন। * স্বামীজী কিরূপ জ্ঞানী, তাহ পরীক্ষা করিবার জন্য খেতড়ির মহারাজ তঁহাকে জিজ্ঞাসা করেন, “Swamiji what is life-স্বামীজী জীবনটা কি ?” স্বামীজী ēts Ūvgts 3", "Life is the tendencey of unfolding and development of a being under circums