পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিবেকানন্দ স্বামী । \0 o কয়েক দিবসের জন্য শিলং গমন করেন। তন্ত্ৰত্য চিফ কমিশনার শ্ৰীযুক্ত কটন সাহেব স্বামীজীর আগমনবাৰ্ত্তা জানিতে পারিয়া, তাহার সবিশেষ যত্ন ও অভ্যর্থনা করেন। ঐ স্থানে স্বামীজী একটী বক্তৃতা করেন। শ্ৰীযুক্ত কটন সাহেব ও তত্ৰত্য যাবতীয় ইংরাজ-কৰ্ম্মচারী তাহার বক্তৃতা শ্ৰবণ করিয়া অত্যন্ত প্রীত হন। ১৩০৭ বঙ্গাব্দে ( ইং ১৯০০ সালে ) স্বামীজী প্যারিসের ধৰ্ম্মসভায় নিমন্ত্রিত হইয়া গমন করেন। তিনি তথায় তিন মাসকাল ধৰ্ম্মপ্রচার করিয়া জাপান হইয়া কলিকাতায় প্ৰত্যাগমন করেন। ঐ সময়ে তাহার স্বাস্থ্য ভঙ্গ হইয়া পড়ে। ১৩০৯ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসের ২০শে তারিখে ( ইং ১৯০২ সালের জুলাই মাসের ৪ঠা তারিখে) রাত্রি ৯৷০ টার সময় ভাগীরথী-তীরস্থ বেলুড় মঠে তিনি নশ্বর দেহ ত্যাগ করিয়া মহাসমাধির সাধনোচিত ধামে গমন করেন। স্বামী বিবেকানন্দ কামিনীকাঞ্চন ত্যাগী। তিনি নির্জনে গুরুর কৃপায় অনেক দিন সাধনা করিয়াছিলেন। তিনি যথার্থ কৰ্ম্মযোগের অধিকারী। তবে তিনি সন্ন্যাসী, মনে করিলেই ঋষিদের মত অথবা তাহার গুরুদেব পরমহংসদেবের মত কেবল জ্ঞানভক্তি লইয়া থাকিতে পারিতেন। কিন্তু র্তাহার জীবন কেবল ত্যাগের দৃষ্টান্ত দেখাইবার জন্য হয় নাই। সংসারীরা যে সকল বস্তু গ্ৰহণ করে, অনাসক্ত হইয় তাহদের কিরূপ ব্যবহার করিতে হয়, স্বামীজী তাহাও দেখাইয়া গিয়াছেন। তিনি অর্থ ও মান, এ সকলকে সন্ন্যাসীর ন্যায় কাক-বিষ্ঠা জ্ঞান করিতেন বটে, অর্থাৎ নিজে ভোগ করিতেন না, কিন্তু তাহাদিগকে পরার্থে কিরূপ ব্যবহার করিতে হয়, তাহা নিজে কাজ করিয়া দেখাইয়া গিয়াছেন। যে অর্থ বিলাত ও আমেরিকার বন্ধুবর্গের নিকট হইতে তিনি সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন, সে সমস্ত অর্থ জীবের মঙ্গলকল্পে ব্যয় করিয়াছেন। স্থানে স্থানে, যথা-কলিকাতার