পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 8 জীবনী-সংগ্ৰহ। কেশরাশি কীৰ্ত্তন করিয়া ফেলেন। এইরূপ অবস্থায় তিনি কিয়দার গমন করিলে, এক ব্যাধের সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হয়। তিনি ঐ ব্যাধকে আপনার পরিধেয় বস্ত্ৰ প্ৰদান করিয়া তাহার পরিধেয় বস্ত্ৰ পরিধান করেন। উঃ, কি ভয়ানক পরিবর্তন! সূর্যোদয়ের পূর্বে যিনি রাজরাজেশ্বর ছিলেন, সাধারণের মঙ্গলের জন্য, সাধারণের মুক্তির জন্য, আপনি ইচ্ছায় আজ তিনি পথের কাঙ্গাল হইলেন। পিতার অতুল বৈভব, রাজ্য, ঐশ্বৰ্য্য, রূপে গুণে অতুলনীয়া যুবতী ভাৰ্য্যা এবং নবজাত পুত্র, ঐ সকল পশ্চাতে রাখিয়া, সংসারের সকল বন্ধন ছিন্ন করিয়া তিনি সন্ন্যাসধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন। সন্ন্যাসধৰ্ম্ম গ্রহণ ও সাধন । সিদ্ধাৰ্থ দরিদ্রবেশে ইতস্ততঃ ভ্ৰমণ করিতে করিতে বৈশালী * নগরে আসিয়া উপস্থিত হন। তথায় তিনি অড়ার পণ্ডিতের নিকট হিন্দুশাস্ত্ৰাদি পাঠ করেন। সেখানে তঁহার আকাজক্ষা পরিপূর্ণ না হওয়ায়, তিনি রাজগৃহে + গমন করিয়া রুদ্রক নামক জনৈক ঋষির শিষ্য হন। ঐ সময়ে রাজগৃহ মগধেশ্বর বিম্বসারের রাজধানী ছিল।

  • বিশালবন্দরী এক্ষণে যাহা হরিদ্বারের উত্তর-পূর্বাংশে বদরিকাশ্রম বলিয়া প্ৰসিদ্ধ, তন্নিকটবৰ্ত্তী নগরের নাম বৈশালী। কিন্তু কানিঙহাম সাহেব তাহার প্রাচীন ভারতবর্ষের ভূগোলে লিখিয়াছেন, বৈশালী পাটলীপুত্রের (পাটনার ) উত্তরে স্থাপিত ছিল। তিনি আধুনিক বিসার নামক স্থানকে “বৈশালী” বলিয়া স্থির করিয়াছেন। আমি এই বিষয়ের যথাসাধ্য অনুসন্ধান করিয়া কানিঙহাম সাহেবের মতেরই পোষকতা করিলাম।

+ অতি পূর্বকালে রাজগৃহ জরাসন্ধের রাজধানী ছিল ; জরাসন্ধের জন্মবৃত্তান্ত অতীব আশ্চৰ্য্যজনক । তিনি মগধের একজন প্ৰবল পরাক্রান্ত রাজা ছিলেন।