পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOS R জীবনী-সংগ্ৰহ । একখানি কুটীর বঁাধিয়া তাহাতে সাধন, ভজন ও যোগাভ্যাস করিতেন। গঙ্গা এখন যেমন কুর্থ গ্রাম হইতে দূরে চলিয়া গিয়াছেন, ৬০ বৎসর পূৰ্ব্বে তেমন ছিলেন না। তখন পুণ্যতোয়া ভাগীরথী সেই বনভূমির প্ৰান্তদেশ ধৌত করিয়া প্ৰবাহিত হইতেন। অযোধ্যানাথের তিন পুত্র। জ্যেষ্ঠ গঙ্গারাম, মধ্যম হরভজন এবং কনিষ্ঠ বলরাম। শৈশবাবস্থায় কঠিন বসন্ত রোগে আক্রান্ত হইয়া হরভজন দাসের দক্ষিণ চক্ষু নষ্ট হইয়া যায়। সেই একচক্ষুহীন বালকের মাতাপিত তাহাকে আদর করিয়া শুক্রাচাৰ্য্য বলিয়া ডাকিতেন । ১৮৪০ খৃষ্টাব্দে উক্ত প্রেমাপুর গ্রামে হরভজনের জন্ম হয়। হরভজনের বয়স যখন দশ বৎসর, সেই সময়ে সাধু লছমীনারায়ণ পীড়িত হইয়া । অতিশয় দুর্বল হইয়া পড়েন এবং তঁহার পদদ্বয় ফুলিয়া উঠে। কতকগুলি মুর্থ লোকের পরামর্শে সাধু লছমীনারায়ণ র্তাহার পদদ্বয় হইতে রক্ত মোক্ষণ করিয়া ফেলেন। শরীরের রক্ত বহু পরিমাণে নিৰ্গত হওয়ায় তাহার চক্ষু তেজোহীন হইয়া যায়। চক্ষের জ্যোতিঃ ক্রমশঃ নষ্ট হইতেছে দেখিয়া “সুরমা” ব্যবহার করিতে লাগিলেন। ঐ “সুরমা” এরূপ বিষাক্ত ছিল যে, চক্ষে দিবামাত্রই দারুণ যন্ত্রণা হইত। উহা দুই চারি দিবস ব্যবহার করিবার পর তাহার চক্ষু ও সমস্ত মুখ ফুলিয়া ৮১০ দিবসের মধ্যেই দৃষ্টিশক্তি হীন হইয়া যায়। অযোধ্যানাথ জ্যেষ্ঠের শারীরিক কষ্ট দেখিয়া অত্যন্ত কাতর হইলেন এবং অগ্রজের শুশ্রষার জন্য আপনার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে তঁহার নিকট রাখিতে অনুরোধ করিলেন। কনিষ্ঠের কথায় সাধু লছমীনারায়ণ বলিলেন, “গঙ্গারাম তোমার সাংসারিক বিষয় কাৰ্য্যে সাহায্য করিবে, সে তোমার কাছেই থাকুক, তুমি কনিষ্ঠ * শুক্ৰাচাৰ্য্যকে আমার নিকট রাখিয়া দাও।” 掌 তখন অযোধ্যানাথের তৃতীয় পুত্র জন্মগ্রহণ করেন নাই ।