পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOS 8 জীবনী-সংগ্ৰহ। የ፡ অসামান্য স্মরণশক্তিপ্রভাবে তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যেই অসাধারণ পণ্ডিত হইয়া উঠিলেন। এই সময়ে একবার তিনি প্রেমাপুরে গিয়া স্নেহময়ী জননীকে দর্শন করিয়া আইসেন। তীর্থযাত্রা ও সুর্দ ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দে সাধু লছমীনুক্মীণ দেহত্যাগ করেন। হরভজন পিতৃব্যের সমাধি এবং অন্যান্য কাৰ্যসকল সমাধা করিয়া ঐ আশ্রমেই অবস্থিতি করিতে লাগিলেন। লছমীনারায়ণ কতকগুলি দেব-দেবীর মূৰ্ত্তিপূজা করিতেন। এক্ষণে শুক্রাচাৰ্য্য সেই সকল দেব-দেবীর পূজা ও শাস্ত্ৰাদি পাঠ করিয়া দিন অতিবাহিত করিতে লাগিলেন, কিন্তু ইহাতে র্তাহার হৃদয় শান্তিলাভ করিল না । এই সময় হইতে র্তাহাকে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও চিন্তাকুল দেখা যাইত। তিনি প্ৰায় রন্ধন করিতেন না, কোন দিন এক পোয় কি অৰ্দ্ধসের দুগ্ধপান করিতেন, কোন দিন বা নিরস্তু উপবাসেই কাটাইয়া দিতেন। ১৮৫৭ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে দেব-দেবীর পূজা ও আশ্রমের ভার পিতৃব্যের । মন্ত্র-শিষ্যকে সমৰ্পণ করিয়া হরভজন তীর্থভ্ৰমণে বাহির হইলেন। তিনি শ্ৰীক্ষেত্র, সেতুবন্ধরামেশ্বর, চিদাম্বরম প্রভৃতি বহুতীর্থ পদব্রজে পৰ্যটন করিয়া “গিরনার” পৰ্ব্বতে গমন করিলেন। তথায় একজন মহাপুরুষের সহিত র্তাহার সাক্ষাৎ হয়। সেই সিদ্ধপুরুষ ইহাকে যোগাভ্যাস করিতে শিক্ষা দেন। তিনি নানান্তীর্থ পৰ্যটন এবং যোগসাধনা শিক্ষা করিয়া প্ৰায় তিন বৎসর কাল পরে পিতৃব্যের আশ্রমে ফিরিয়া আসিলেন। তীর্থ হইতে প্ৰত্যাগত হইয়াই তিনি স্বীয় জ্যেষ্ঠতাতের সমাধি উত্তোলন করিয়া তন্মধ্যস্থ অস্থি গঙ্গার জলে নিক্ষেপ করিলেন এবং সেই সমাধি পুনৰ্নিৰ্ম্মাণ