পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ORe জীবনী-সংগ্ৰহ । বিকট চীৎকার করিতে থাকে। পওহারী বাবা সেই সময়ে হোম করিতেছিলেন। র্তাহার হোম-ক্রিয়া সমাপ্ত হইলে তিনি হোমগৃহ হইতে বাহিরে আসিলেন এবং উন্মাদকে তঁহার কাছে আনিতে বলিলেন । সে বিষম উন্মাদ, পাছে পওহারী বাবার প্রতি কোনরূপ অত্যাচার করে, এই আশঙ্কায় কয়েকজন তাহার হাত পা ধরিয়া রহিল। পওহারী বাবা স্থির দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ উন্মাদের চক্ষের উপর দৃষ্টি স্থাপন করিলেন, পরে বলিলেন, “উহাকে ছাড়িয়া দাও, উনি অতি সাধু ব্যক্তি।” সেই সময় হইতে তাহার উন্মত্ততা একেবারে দূর হইয়া যায়। সে যে পাগল ছিল, ইহা তাহার म6न्म शून्न मा । এই ঘটনার কিছুদিন পরে পওহারী বাবার দীক্ষাগুরুর আশ্রমের একজন সন্ন্যাস-ভেকধারী ব্যক্তি, ইহার আশ্রমে আসিয়া পওহারী বাবার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া বলে, “তুমি না। সাধু, তুমি না যোগী, তবে তুমি এখনও মায়া ছাড়িতে পারিতেছ না কেন ? তুমি এখনও কেন মায়ায় লিপ্ত রহিয়াছ ? তোমার ঠাকুরের গায়ে যে স্বর্ণালঙ্কার রহিয়াছে, উহা তোমার কি আৰশ্যক? উহা আমায় প্ৰদান কর।” ভেকধারী সন্ন্যাসীর কথা শুনিয়া পওহারী বাবা বলিলেন, “বাবা! আপনার যদি উহা লইবার ইচ্ছা হইয়া থাকে, আপনি উহা গ্ৰহণ করুন।” সন্ন্যাসী পুনরায় বলিলেন, “তুমি এই ধন, রত্ন ও শস্যাদিপূর্ণ আশ্রমের মায়া পরিত্যাগ করিতে পারিতেছি না কেন ? আমি বলিতেছি, তুমি এই মুহুর্তে এই স্থান পরিত্যাগ কর।” সন্ন্যাসীর কথা শুনিয়া পওহারী বাবা বলেন, “বাবা যদি আমি এখন এই আশ্রম পরিত্যাগ করি, তাহা হইলে তোমার মনোভিলাষ সিদ্ধ হইবে না । কারণ আশ্রমস্থ ব্যক্তিগণ আমার গমনে বাধা প্ৰদান করিবে । অতএব আপনি রাত্রি আগমন পৰ্যন্ত প্ৰতীক্ষা করুন।” ক্রমে রাত্রি সমাগত হইলে পওহারী বাবা ঘোর নিশীথ সময়ে কুটীরের দ্বারে চাবি বন্ধ করিয়া, চাবিটী উক্ত