পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৌনীবাবা । O80 মৌনীবাবার সাক্ষাংলাভের জন্য সময়ে সময়ে তাহার গুম্ফার দ্বারে ভীষণ জনতা হইত। ঐ জনতাকারীদিগের মধ্যে কেহ উৎকট রোগ শান্তির জন্য, কেহ অৰ্থকৃচ্ছের প্রতিকারাকাজক্ষায়, কেহ গুপ্ত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য, কেহ বা শিষ্য হইবার আশায় আসিতেন। অনেকে আশাতীত ফললাভ করিয়া বিশেষ উপকৃত হইয়াছেন। পূৰ্বোক্ত ব্যবসায়ী আপনার মুখে বলিয়াছেন, “আমি অতি দরিদ্র ছিলাম, যে দিন হইতে আমি মৌনীBBB BBDDDBD DBD DDBSBD DB DB BBDD DDDD DDD হইয়াছে। মৌনীবাবাই আমার ধনৈশ্বৰ্য্যের মূল।” ওঁকারনাথের মোহান্ত বলিয়াছিলেন, “আমি এ জীবনে যত সাধু সন্ন্যাসী দেখিয়াছি, কিন্তু মৌনীবাবার মত সাধু একজনও দেখি নাই।” মৌনীবাবা নিজের শরীরের প্রতি লক্ষ্য না রাখিয়া কঠিন অপেক্ষা কঠিনতর যোগসাধনা করিতে লাগিলেন। বোধ হয়, তিনি ইহা একবারও ভাবিয়া দেখেন নাই যে, শরীরকে অগ্রে রক্ষা করা আবশ্যক। তিনি প্ৰতিদিন এক পোয় দুগ্ধ এবং এক ছটাক বিন্ধপত্রের রস পান করিয়া থাকিতেন। যে শরীর রক্ষার জন্য প্রচুর খাদ্যের প্রয়োজন, সেই শরীর কি কখন এক পোয় দুগ্ধ এবং এক ছটাক বিন্ধপত্রের রসে রক্ষিত হয় ? কাজেই তাহার শরীর ক্রমশঃ শুষ্ক হইয়া কঙ্কালে পরিণত হইয়া আসিল । তিনি আর পৃথিবীতে থাকিলেন না। ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দে ৩৭ বৎসর বয়সে মৌনীবাবা শান্তিদাতা পরমেশ্বরের শান্তিময় ক্ৰোড়ে মাথা রাখিয়া যোগাসনে চিরনিদ্রায় নিদ্রিত হইলেন।