পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকনাথ ব্ৰহ্মচারী। V8 লোকনাথের এই বিষয় জানিতে পারিয়া শিষ্যদ্বয়কে লইয়া দেশে ফিরিয়া আইসেন এবং যে স্থানে তাহার বাল্যাসখী বাস করিতেন, তথায় অবস্থান । করিতে লাগিলেন। ভগবানচন্দ্ৰ অনুসন্ধান দ্বারা জানিতে পারেন যে, লোকনাথের বাল্যাসখী বাল্যাবস্থায় বিধবা হইয়া তাহার চরিত্র কলুষিত করিয়া ফেলিয়াছে। ভগবান সুযোগ বুঝিয়া সেই বিধবা বাল্যাসখীকে লোকনাথের মনােবাঞ্ছা পূর্ণ করিতে বলেন। ভগবানের কথায় সে সম্মত হয়। যখন লোকনাথের স্ত্রী-সম্ভোগজনিত লালসায় বিতৃষ্ণা জন্মাইল, তখন তাহাদের গুরুদেব উহাদিগকে সঙ্গে লইয়া সেই স্থান পরিত্যাগ করিলেন। ভগবানচন্দ্ৰ ব্ৰহ্মচারীদ্বয়কে নক্তব্ৰত, একান্তরা, পঞ্চাহ, নবরাত্রি, মাসােহ প্ৰভৃতি ব্ৰতসকল উদযাপন করাইয়া মনঃসংযম করাইয়াছিলেন। দীর্ঘকালব্যাপী এইরূপ ব্ৰত অনুষ্ঠান করায় ব্ৰহ্মচারীদ্বয় জাতিস্মরত লাভ করিয়াছিলেন। তিনি বলিয়াছিলেন, “আমি পূৰ্ব্বজন্মে বৰ্দ্ধমান জেলার বেড়গ্রামে সীতানাথ বন্দ্যোপাধ্যায় নামক ব্যক্তি ছিলাম।” পরীক্ষার দ্বারা জানা গিয়াছে যে, তাহার কথা সম্পূর্ণ সত্য। ভগবানচন্দ্ৰ লোকনাথ ও বেণিমাধবকে লইয়া নানাস্থান ভ্ৰমণ করিয়া কাশীতে আসিয়া উপস্থিত হন। এই স্থানের মণিকর্ণিকার ঘাটের উপর যোগাবলম্বনে তিনি দেহত্যাগ করেন। মৰ্ত্তধাম পরিত্যাগ করিবার পূর্বে তিনি তঁাহার শিষ্যদ্বয়কে ত্ৰৈলিঙ্গ স্বামীর হস্তে সমৰ্পণ করিয়া যান। লোকনাথ ও বেণিমাধব স্বামীজীর নিকট কিছুকাল যোগশিক্ষা করিয়া যোগসাধনার জন্য হিমালয়ের কোন নিভৃত স্থানে গমন করেন। ঐ স্থানে র্তাহার কয়েক বৎসরকাল কঠোর যোগসাধনা করিয়া সিদ্ধ হন। মহাপুরুষদ্বয় পৰ্ব্বত-শৃঙ্গ হইতে অবতরণ করিয়া প্ৰথমে চন্দ্রনাথে আইসেন। ‘বেণিমাধব চন্দ্ৰনাথ হইতে কামাখ্যাভিমুখে প্ৰস্থান করেন এবং লোকনাথ নিম্নভূমি বারদী গ্রামে আসিয়া উপস্থিত হন।