পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্ৰমণিকা ه/o. অভাবপূরণ করিয়া গিয়াছেন। রত্নগৰ্ভা ভারতভূমিতে যে সকল মহাত্মা জন্মগ্রহণ করিয়া গিয়াছেন, তাহদের জীবনচরিত লেখাই এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য। বর্তমানকালে আমাদের দেশে নাটক, নভেল, উপন্যাস ব্যতীত ভ্ৰমণ-বৃত্তান্ত, জীবনচরিত ও ধৰ্ম্মসংক্রান্ত কোন পুস্তকেরই আদর নাই। এরূপ পুস্তক প্রণয়নে সাধারণে গ্ৰন্থকীৰ্ত্তাকে উৎসাহিত না করিয়া বরং তাহাকে নিরুৎসাহ করিয়া থাকেন। তাহারা বলেন, “যে পুস্তকে “পূৰ্ণিমার শুভ্ৰ চন্দ্রালোকে খিড়কির স্বচ্ছ পুষ্করিণীর ধারে লতামণ্ডপের মধ্যে ফুল্লকুসুমসদৃশ কমলমণিকে না দেখিতে পাওয়া যায় ; যে পুস্তকে “প্ৰতিবেশীর পুত্র বিপিনকে হেমাঙ্গিনীর প্রতি কটাক্ষা-শর হানিতে না দেখিতে পাওয়া যায় ; যে পুস্তকে ‘বিরাহিণী ইন্দুবালাকে বিমৰ্ষভাবে পথিপাশ্বস্থ গবাক্ষের দ্বারে প্রণয়ীর জন্য বসিয়া থাকিতে না দেখা যায় ;’ সে পুস্তক কি আর পুস্তকের মধ্যে গণ্য ?” যে দেশের শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত ব্যক্তিদিগের এইরূপ ধারণা, সে দেশে এরূপ পুস্তকের উন্নতি কিরূপে হইবে ? বর্তমানকালে এ দেশের অনেক ব্যক্তিকে তাঁহাদের পূর্বপুরুষদিগরে নাম জিজ্ঞাসা করিলে, বা তঁহাদিগকে ধৰ্ম্মসংক্রান্ত কোন কথা জিজ্ঞাসা করিলে, অমানবদনে উত্তর করিবেন, “মহাশয় । ও সব আমরা শিক্ষা করি নাই,” কিন্তু তাহারা, সুদূর সাগরপারে ইয়োরোপখণ্ডের মধ্যে যে সকল রাজা প্ৰজা ও লেখক লেখিকা আছেন, তাহদের চোঁদপুরুষের নাম ও ঠিকানা অনায়াসে বলিয়া দিবেন, তাহাতে কোনরূপ দ্বিরুক্তি করিবেন। না। এ কথা সত্য যে, পূর্বকালের বিদ্যা জ্ঞানকারী ছিল এবং এখনকার বিদ্যা অর্থকরী হইয়াছে। তখনকার লোকে, জ্ঞানসঞ্চয় হইতে পারে, এরূপ পুস্তক আদরের সহিত পাঠ করিতেন ; আর এখনকার