পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VO জীবনী-সংগ্ৰহ LLSSMTLALALSLA LASLLALALALALM M LL LMLL LeMeLeALSLS eLALSLSLeLSLeLALS AASee eAALLSLLLAS রোগ আসিয়া তঁহাকে আক্রমণ করে । বুদ্ধদেব বুঝিয়াছিলেন যে, "এই আক্রমণ হইতে তিনি আর রক্ষা পাইবেন না, সেই জন্য তিনি শিষ্যদিগকে আর অগ্রসর হইতে নিষেধ করেন। শিষ্যগণ এক সুবৃহৎ শালবৃক্ষের তলদেশে গুরুদেবের শয্যা রচনা করিয়া দিয়া তঁহার শুশ্ৰষা করেন ; কিন্তু তাহাতে কোন ফল হয় নাই। তিনি ক্রমেই দুর্বল হইয়া পড়েন। বুদ্ধদেব অন্তিম সময়ে শিষ্যদিগকে আহবান করিয়া নিম্নলিখিত চারিটি উপদেশ প্ৰদান করেন :- ১ । হে বৎসগণ । চক্ষু, কৰ্ণ, নাসিক এবং জিহবাকে সংযত করিবে । ইন্দ্ৰিয়াদিগকে দমন করিতে পারিলে নিৰ্বাণ-রাজ্যে শীঘ্রই পৌছিতে পরিবে। ২ । হে ভিক্ষুগণ! তোমরা আপনাকে আপনি জাগ্ৰত করিবে, আপনাকে আপনি পরীক্ষা করিবে, এইরূপে সতর্ক এবং আপনা কর্তৃক রক্ষিত হইলে তোমরা সুখী হইবে। পাপ করিও না, সৎকাৰ্য্যে রত থাকিও, অন্যের হৃদয়কে সংশোধন করিও । ৩। জলের দ্বারা কর্দম উৎপন্ন হইলে তাহা যেমন জলের দ্বারাই ধৌত হইয়া যায়, সেইরূপ মন কর্তৃক পাপ অনুষ্ঠিত হইলে, মনের দ্বারাই তাহাকে বিনষ্ট করা যায়। ৪ । ছায়া যেমন মনুষ্যকে পরিত্যাগ করে না, সেইরূপ যাহাঁদের চিন্তা, বাক্য ও কাৰ্য্য পবিত্র, সুখ ও শান্তি কদাপি তাহাদিগকে পরিত্যাগ করে না । বুদ্ধদেব শিষ্যদিগকে এই চারিটীি উপদেশ প্রদান করিয়া যোগাবলম্বনে দেহত্যাগ করেন। তিনি নিৰ্ব্বাণপ্ৰাপ্ত হইলে, শিষ্যগণ চন্দন কাষ্ঠের দ্বারা চিতা সজ্জিত করিয়া অগ্ৰে গুরুদেবের চরণ বন্দনা করেন, পরে তাহার দেহ চিতার উপর শয়ন করাইয়া দেন। যিনি অতুল ঐশ্বর্ঘ্যের