পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8V) জীবনী-সংগ্ৰহ। একটি সন্তান জন্মে। শিবগুরু শৈশবে মাতাপিতার স্নেহে প্ৰতিপালিত হন, পরে কৃতোপনয়ন হইলে শাস্ত্রালোচনার জন্য গুরুগৃহে বাস করেন। কিছুকাল অতিবাহিত হইলে পর গুরুদেব শিবগুরুকে পরীক্ষা করেন। তিনি শিষ্যকে বিদ্যালাভে কৃতকৃতাৰ্থ দেখিয়া, গাৰ্হস্থ্য ধৰ্ম্ম আশ্রয় ও মাতাপিতার শুশ্রুষা করিতে আদেশ করেন। শিবগুরু, গুরুর নিকট এইরূপ আদিষ্ট হওয়ায়, গুরুদক্ষিণা প্ৰদানান্তর স্বগৃহে প্ৰত্যাগমন করেন। পুত্র গুরুগৃহ হইতে প্ৰত্যাগত হইলে, বিদ্যাধিরাজ পাত্রী অন্বেষণ করিয়া শুভলগ্নে তাহার পরিণয় কাৰ্য্য নিৰ্বাহ করেন। বিবাহ কাৰ্য্য সমাধা হইবার পর শিবগুরু রূপবতী গুণবতী ও পতিব্ৰতা ভাৰ্য্যা লাভ করিয়া দাম্পত্য সুখসম্ভোগে কালব্যাপন করিতে থাকেন । শঙ্করাচাৰ্য্যের জন্ম । শিবগুরুর ভাৰ্য্যার নাম সুভদ্রা। এক দিবস সুভদ্রা পতি-সন্নিধানে বসিয়া আপন মনের কষ্ট এই বলিয়া নিবেদন করেন যে, “স্বামিন! আমাদের যৌবন অতীত প্রায়, কিন্তু এখনও পুত্রমূখ দৰ্শন করিতে পারিলাম না। যে রমণীর কুক্ষিতে পুত্র না জন্মে, সে বন্ধ্যা বলিয়া সকলের ঘূণাৰ্ছা হয়। নাথ ! পুত্র যখন আধ্য আধ্য স্বরে মধুৰ মাখা বুলিতে “মা মা” বলিয়া ডাকে, তখন জননীর হৃদয়ে যে কি অনির্বচনীয় সুখের আবির্ভাব হয়, তাহা ত আমি জানিতে পারিলাম না ? আমি এমনি অভাগী যে, সে রসাস্বাদনে বঞ্চিত রহিলাম। নাথ ! আমি পুত্ৰমুখ দর্শন করিয়া কি পুন্নাম নরক হইতে উদ্ধার পাইব না ? শাস্ত্রে এরূপ দেখিতে পাওয়া যায় যে, ভোলানাথের আরাধনা করিয়া এ পৰ্যন্ত কেহই বিফল মনোরথ হয়েন নাই, তবে আমরাও কেন