পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনী-সংগ্ৰহ । করিয়া কিছুদিন তথায় অবস্থান করেন। ঐ সময়ে তিনি তথায় একটী মঠ স্থাপন করিয়া অথৰ্ববেদ প্রচারের জন্য, অথর্ববেদজ্ঞ নন্দ নামক একজন শিষ্যকে ঐ মঠের অধ্যক্ষ-পদে নিযুক্ত করেন। ঐ মঠ যোষিশান নামে 2Tठ । শঙ্করাচাৰ্য্য বদরিকাশ্রমে মঠ স্থাপন করিয়া হস্তিনাপুরের অগ্নিকোণস্থ “বিদ্যালয়” নামক একটী প্রদেশে আসিয়া উপস্থিত হন। বিদ্যালয়, বিজিলবিন্দু নামে প্ৰসিদ্ধ। এই বিজিলবিন্দুর তালবনে, মণ্ডন মিশ্র নামক একজন মহাপণ্ডিত ছিলেন । তিনি জ্ঞানকাণ্ডাবলম্বীদিগের ঘোর বিদ্বেষী । যে সময়ে শঙ্করাচাৰ্য্য মিশ্র মহাশয়ের নিকট আসিয়া উপস্থিত হন, সেই সময়ে তিনি পুরোদ্বার বন্ধ করিয়া শ্ৰাদ্ধ করিতেছিলেন এবং স্বয়ং ব্যাসদেব মন্ত্রবলে আহূত হইয়া তথায় শ্ৰাদ্ধকাৰ্য্যাদি দর্শন করিতেছিলেন। শঙ্কর পুরোদ্ধার রুদ্ধ দেখিয়া যোগবলে ভিতরে প্রবেশ করেন। সন্ন্যাসী দেখিয়াই মিশ্র ঠাকুর অগ্নিশৰ্ম্ম হন। ক্ষণেক বাচসার পর ব্যাসদেবের কথায় স্থির হইল যে, আহারান্তে বিচার আরম্ভ হইবে। যিনি পরাজিত হইবেন, তিনি জেতার মত অবলম্বন করিবেন। মণ্ডন মিশ্রের স্ত্রী সারসবানী মধ্যস্থ থাকিবেন । আহারান্তে বিচার আরম্ভ হয় এবং মণ্ডন মিশ্র পরাজয় স্বীকার করেন। বিচারে পরাস্ত হইয়া মণ্ডন সন্ন্যাসী হন। পতিব্ৰতা সারসবানী স্বামীর যত্যাশ্রম স্বীকারের পূর্বেই স্বামী থাকিতে বিধবার ন্যায় হইতে হইল দেখিয়া, ব্ৰহ্মলোকে গমনোদ্যত হন। সারসবানীকে ব্ৰহ্মলোকে যাইতে দেখিয়া শঙ্করাচাৰ্য্য বলেন, “সারসবানি । আমার কাছে তোমাকেও পরাভব স্বীকার করিতে হইবে।” সারসবানী তথাস্তু বলিয়া বিচারে প্রবৃত্ত হন। সন্ন্যাসীকে সৰ্ব্বশাস্ত্ৰবিশারদ দেখিয়া তিনি প্রথমেই কামশাস্ত্রের আলাপ করিতে প্ৰবৃত্ত হন। শঙ্করাচাৰ্য্য। সারসবানীকে কামশাস্ত্রের আলাপ করিতে দেখিয়া