পাতা:জীবনী সংগ্রহ - গনেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*श्5 ।। もW* محبت“”لیح"”حمھم محیخ pureau বিচারে পরাস্ত করেন। অভিনব গুপ্ত পরাস্ত হইয়া আপনাকে অবমানিত মনে করেন এবং প্রতিশোধ লইবার জন্য তাহাকে মারিয়া ফেলিবার চেষ্টা করেন। এই ঘটনার কিছুদিন পরে শঙ্করদেব উৎকট ভগিন্দর রোগে আক্রান্ত হন। জনশ্রুতি এইরূপ যে, অভিনব গুপ্ত তাহার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করিবার জন্য কোন উপায় না পাইয়া, অবশেষে অভিচার দ্বারা তাহার এই রোগ উৎপন্ন করাইয়া দেন। ঐ সময়ে আচাৰ্য্যদেবের সহিত যে কয়েকজন শিষ্য ছিলেন, তাহদের মধ্যে যিনি প্রধান, তিনি সিদ্ধমন্ত্র জপ করিয়া অতি অল্প দিবসের মধ্যেই ঐ দুরারোগ্য রোগ হইতে গুরু দেবকে মুক্ত করেন। এক দিবস শঙ্করাচাৰ্য্য ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদীতে স্নান করিবার সময় কয়েকজন তীর্থযাত্রীর নিকট হইতে শ্রবণ করেন যে, এই পৃথিবীর মধ্যে জম্বুদ্বীপ সকলের প্রধান, তন্মধ্যে ভারতবর্ষ সর্বশ্রেষ্ঠ, আবার ভারতবর্ষের মধ্যে কাশ্মীর দেশ সৰ্ব্বাপেক্ষা উত্তম স্থান । ঐ স্থানে সৰ্ব্ব-বিদ্যা-প্ৰকাশিনী সারদা দেবী নিরন্তর বিরাজমান রহিয়াছেন। যেমন বেদান্তের সমান শাস্ত্ৰ নাই, মেরুর সদৃশ পৰ্ব্বত নাই, তত্ত্বজ্ঞান অপেক্ষা তীর্থ নাই এবং চুরির তুল্য। আর দেবতা নাই, সেইরূপ কাশ্মীরের ন্যায় সুন্দর স্থানও আর নাই । এই কথা শ্রবণ করিয়া শঙ্করের হৃদয়ে কাশ্মীর দর্শন-লালসা বলবতী হইয়া উঠে। তিনি অনতিবিলম্বেই শিষ্যদিগকে সঙ্গে লইয়া কাশ্মীরযাত্ৰা করেন। কাশ্মীর গমন সময়ে পথিমধ্যে গৌরীপাদ স্বামীর সহিত তাহার সাক্ষাৎ হয়। তিনি শঙ্করকে সম্বোধন করিয়া বলেন, “শঙ্কর । তোমার ভাষ্য রচনার কথা শুনিয়া আমি অত্যন্ত আনন্দিত হইয়াছি। ইতঃপূর্বে আমি মণ্ডক্যোপনিষদের বাৰ্ত্তিক প্রণয়ন করিয়াছিলাম ;