পাতা:জীবনের ঝরাপাতা.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

স্বতন্ত্র। উৎসবমুখর সনাতনী হিন্দ-অনুষ্ঠান ব্রাহ্ম ঠাকুর-বাড়িতে নেই, কিন্তু সেখানে মাঘোৎসবকে কেন্দ্র করে কত নুতন সঙ্গীত, নৃত্য ও অনুষ্ঠানের রীতিতে বাঙলা দেশ ঐশ্বর্যমণ্ডিত হয়েছে। বাংলা দেশে প্রচলিত বহ, রীতির প্রবর্তন হয়েছে এই ঠাকুর-বাড়ি থেকে জন্মদিন —পালনের রীতি, শাড়ী-পরার আধুনিক রীতি, রাখি-বন্ধন ও বসন্তোৎসব পালনের রীতি এমনি কত।

 ‘জীবনের ঝরাপাতা’ সরলা দেবীরই দেওয়া নাম। মনে হয় সে যুগকে, সে পরিবেশকে তিনি গভীরভাবে ভালবাসতে পেরেছিলেন। তাই তাঁর জীবনকাহিনী হয়েছে যেন যুগ-আলেখ্যর একটি ঘনিষ্ঠ অধ্যায়, অতি সূক্ষ্ম রেখাও যেখানে প্রতিভাত হতে পেরেছে।

 কাহিনীটি সাপ্তাহিক ‘দেশ’ পত্রিকায় ১৩৫১ সনের ২৫শে কার্তিক সংখ্যা থেকে শুরু হয় এবং ১৩৫২ সনের ২৬শে জ্যৈষ্ঠ সংখ্যা পর্যন্ত চলে। ‘বিবাহোত্তর জীবনকথা’ তিনি লিখে যেতে পারেননি। এই অংশটি এবং ‘গ্রন্থোক্ত ব্যক্তি ও বিষয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয়’ অংশটি শ্রীযুক্ত যোগেশচন্দ্র বাগল মহাশয় অশেষ যত্নসহকারে সঙ্কলিত করে দিয়েছেন। সেজন্য তিনি ধন্যবাদার্হ। সরলা দেবীর একমাত্র পুত্র শ্রীযুক্ত দীপক দত্তচৌধুরী মহাশয় ‘জীবনের ঝরাপাতা’ গ্রন্থাকারে প্রকাশনার অনুমতি দিয়ে আমাদের কৃতজ্ঞতাভাজন হয়েছেন।

 বাঙলার পাঠক-পাঠিকা কর্তৃক গ্রন্থটি সমাদৃত হলে শ্রম সার্থক মনে করব।