পাতা:জীবনে ভুল - সুধীর মিত্র.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনে ভুল দাড়াইলেন। যাইবার সময় তাহার হাতদুটি দৃঢ়ভাবে নিজের হন্তের মধ্যে চাপিয়া ধরিয়া রজনী বাবু জিজ্ঞাসা করিলেন,- “বল আমায় ক্ষমা কবুলি ?” তলি এই কথার উত্তর না দিয়া দরজা অবধি আগাইয়া দিয়া পুনঃরায় নিজের ঘরে আসিয়া শুইয়া পড়িল। পায়ের শব্দ হইবামাত্র ক্ষেমী তাহার স্থান পরিত্যাগ করিয়া অন্যত্র চলিয়া গেল । কথা চাপা থাকে না। বিশেষত: মেয়ে মানুষ কথা চাপিয়া রাখিতে জানে না। রজনী বাবুর সহিত ডলির সাক্ষাৎ তাহাও চাপা রহিল না। ক্ষেমী সেইদিন রাত্রি বেলায় সমস্ত কথা তাহার মা ঠাকরুণের কৰ্ণগোচর করিল। “তিনি এই সমস্ত শুনিয়া অবাক হইয়া গেলেন । প্ৰথমে, তিনি ক্ষেমীর কথা সমস্ত মিথ্যা বলিয়া উড়াইয়া দিবার চেষ্টা করিলেন। কিন্তু যখন ক্ষেমী বলিল, যে সে নিজের চক্ষে সমস্ত দেখিয়াছে এবং মিথ্যা বলিয়া তাহার কি লাভ আছে, তখন डिनि दियांग ना कद्विभां থাকিতে পারিলেন না । মেয়েমানুষের মন তারের পদার মতন নামে উঠে, এটা তাহার জানা ছিল, কিন্তু তাহার বউমার মনটা যে রজনী বাবুর সুরের সঙ্গে নামিয়া যাইবে, এটা তিনি মোটেই ধারণায় আনিতে পারেন নাই ।